জমজমের পানি পানের ফজিলত

জমজমের পানি অনেক বরকতময়। এ পানি পানে আল্লাহ তাআলা পানকারীকে শারীরিক অসুস্থতা থেকে হিফাজত করেন। দুনিয়ায় সকল খাবার খাওয়া ও পানীয় পান করার সময় তা বসে খেতে হয়। শুধু ব্যতিক্রম জমজমের পানি পান করায়। এ বরকতময় পানি পান করার সময় দাঁড়িয়ে ক্বিবলামুখী হয়ে পান করতে হয়। জমজমের পানি পানের বরকত ‍তুলে ধরা হলো-

>> জমজমের পানির বরকতে আল্লাহ তাআলা পানকারীর মনের সকল চাওয়া পূরণ করে দেন। হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জমজমের পানি যে উদ্দেশ্য নিয়ে পান করবে তা পূরণ হবে। (মুনসাদে আহমদ)

>> জমজমের পানি মানুষের ক্ষুধা নিবারণকারী এবং অসুস্থ ব্যক্তির জন্য শেফা। হাদিসে এসেছে, হজরত আবু জর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জমজমের পানি বরকতময়, স্বাদ অন্বেষণকারীর খাদ্য এবং রোগীর ঔষধ।’ (তাবারানি, বাযযার)

>> বিশ্বনবি সবসময় জমজমের পানি সঙ্গে রাখতেন যার প্রমাণ পাওয়া যায় হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাদিসে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের সাথে পাত্রে এবং মশকে করে জমজমের পানি বহন করতেন। তা অসুস্থদের ওপর ছিটিয়ে দিতেন এবং তাদের পান করাতেন। (তিরমিজি, তারিখুল কবির, বাইহাকি)

>> এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়াতে এ পানিকে শ্রেষ্ঠ পানি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জমিনের ওপর সর্বোত্তম পানি হলো জমজমের পানি। (তাবারানি কাবির, ইবনে হিব্বান)

মুসলিম উম্মাহর সকল হজ পালনকারীদেরকে যথাযথ সম্মান ও আদবের সঙ্গে জমজমের পানি পান করার তাওফিক দান করুন। জমজমের পানি পানকারী সকলকে বরকত, সুস্থতাসহ সকল উপকারিতা দান করুন। হজের অন্যান্য কার্যাবলী যথাযথ আদায়ের তাওফিক দান করুন। আমিন।



মন্তব্য চালু নেই