জলঢাকায় ভালোবাসা দিবসে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

ভালোবাসা দিবসে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কাঠালী ইউনিয়নের উত্তর দেশীবাই গ্রামে তিন সন্তানের জননী গৃহবধু জাহিদা বেগমকে (৩০) হত্যার পর লাশ দড়িতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে জলঢাকা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর নিহত গৃহবধুর স্বামী ছাইদার রহমান পলাতক রয়েছে ।

এলাকাবাসী জানায় গত দুই দিন ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। শনিবার রাতে জাহিদাকে শারীরিক নির্যাতন করে স্বামী ছাইদার রহমান। এরপর রবিবার সকালে ওই গৃহবধুর লাশ ঘরের ভেতর গলায় দড়িতে ঝুলতে দেখা যায়। এ ঘটনার পর তার স্বামীকে বাড়িতে দেখা যায়নি।

নিহত গৃহবধূর পিতা জাহাঙ্গীর আলী অভিযোগ করেন, ‘তার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।’

এরপর তার জামাই লাশ দড়িতে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। তাই তিনি লাশের ময়না তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।

তিনি আরো জানান, তার নিহত মেয়ে জাহিদার ৫ বছরের দুটি জমজ মেয়ে ও তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে।

জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু মোঃ দিলওয়ার হাসান ইনাম জানান, ঘটনাটি হত্যা না আত্নহত্যা তা নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। তবে লাশের শরীরে নির্যাতনের চিহৃ পাওয়া গেছে।

গৃহবধূর পিতার অভিযোগে লাশের ময়না তদন্ত করা হবে মঙ্গলবার জেলার মর্গে।ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রাথমিক ভাবে একটি ইইডি মামলা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই