জলবায়ুর সর্বোচ্চ ঝুঁকির সূচকে ছয় নম্বরে বাংলাদেশ

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকির সূচকে এক নম্বরে রয়েছে হন্ডুরাস।ঝুঁকির সূচকে হন্ডুরাসের পরে ক্রমান্বয়ে রয়েছে মিয়ানমার ও হাইতি। আর বাংলাদেশ রয়েছে ছয় নম্বরে। গত এক দশকে সারা বিশ্বে বন্যা, ভূমিধস ও খরার মতো দুর্যোগে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

জার্মানির বনভিত্তিক জলবায়ু পরামর্শক গোষ্ঠী ‘জার্মান ওয়াচ’ প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক-২০১৬’ এর প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়। খবর এএফপির

জলবায়ু বিষয়ক প্যারিস সম্মেলনে যোগ দেওয়া ১৯৫টি দেশের প্রতিনিধির প্রতি জার্মান ওয়াচের এই প্রতিবেদন একটি সতর্কবার্তা বলে মনে করা হচ্ছে। প্যারিস সম্মেলনে যোগদানকারীরা জলবায়ু বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছার চেষ্টা করছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগে হন্ডুরাস, মিয়ানমার ও হাইতি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন দেশে প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৫ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। ক্ষতি হয়েছে ২.৯৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। সূচকে হন্ডুরাস, মিয়ানমার ও হাইতির পর চার নম্বরে রয়েছে ফিলিপাইন। এর পরই রয়েছে নিকারাগুয়া, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড এবং গুয়াতেমালা।

প্রতিবেদনে বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, মানবজাতি যদি গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন, বিশেষ করে যা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উৎপন্ন হয়, সেটা আটকাতে না পারে তাহলে সমুদ্রসীমার উচ্চতা, ঝড়, বন্যা ও খরা আরও মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

তবে প্রতিবেদনে শুধুমাত্র দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রত্যক্ষ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তাপ প্রবাহের ফলে সৃষ্ট খরা এবং দুর্ভিক্ষের মতো দুর্যোগপূর্ণ ঘটনার পরোক্ষ প্রভাব আরও ভয়াবহ বলে উল্লেখ করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই