জাকির নায়েককে নাগরিকত্ব দিয়েছে মালয়েশিয়া

ভারতের ইসলাম প্রচারক ডা. জাকির নায়েককে মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। ফলে তাকে দেশে ফেরত আনা সম্ভব নয় বলেও মনে করছে গণমাধ্যমটি।

রোববার হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আফ্রিকা বা থাইল্যান্ডে অবস্থান করার পরিবর্তে ডা. জাকির নায়েক বর্তমানে মালয়েশিয়ায় আছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ২০১০ সালে ভারতের সঙ্গে মালয়েশিয়ার একটি আসামী বিনিময় চুক্তি হলেও ওই চুক্তির আওতায় এখন পর্যন্ত কোনো আসামীকে ফেরত আনতে পারেনি ভারত।

মুম্বাইতে জাকির নায়েকের অনুসারীরা মালয়েশিয়ায় তার নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলেও জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। শুধু নাগরিকত্ব প্রদানই নয়, এর আগে ২০১৩ সালে জাকির নায়েককে মালয়েশিয়ার সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘তোকন মা’ল হিজরা’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। তবে এ ব্যাপারে এখনো মালয়েশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

জাকির নায়েকের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাবপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব প্রদান মালয়েশিয়ার একটি রাষ্ট্রীয় নীতি। জাকির নায়েক এখন মালয়েশিয়ারও একজন নাগরিক।’ বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্বৈত নাগরিকত্বটি জাকির নায়েকের জন্য খুব উপকারী হবে।

এদিকে জাকির নায়েকের পরিবারকে ভারত সরকার বিদেশে যেতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে পরিবারের সদস্যরা। তাদের নজরদারীতে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।

প্রসঙ্গত, ঢাকার গুলশানে হোলে আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারীদের মধ্যে দুইজন জাকির নায়েককে ফেসবুকে অনুসরণ (ফলো) করত বলে অভিযোগ ওঠার পর এ নিয়ে গণমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে রোহান ইমতিয়াজ এবং নিবরাস ইসলাম জাকির নায়েককে অনুসরণ করত বলে অভিযোগ রয়েছে। রোহান গত বছর জাকির নায়েকের পিস টিভির একটি অনুষ্ঠান তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছিল। এছাড়া ভারতে বিভিন্ন সময়ে আটক হওয়া জঙ্গিরাও ফেসবুকে জাকির নায়েককে ফলো করত বলে অভিযোগ করেছে ভারত সরকার।

এরপরই জাকির নায়েক এবং তার প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (আইআরএফ) কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা বা সৌদি আরবে রয়েছেন বলে ধারণা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার।



মন্তব্য চালু নেই