জাতীয় ঈদগাহে এবার নজীরবিহীন নিরাপত্তা

একদিন পরেই ঈদ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি এই ঈদুল আজহা। ধর্মীয় প্রধান এ উৎসবে ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে রাজধানীস্থ জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। এবার ঈদগাহ ঘিরে নজীরবিহীন নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি), এলিট ফোর্স র‌্যাব ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাকে নিয়ে পুরো ঈদগাহে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। গত রোজার ঈদে শোলাকিয়ার হামলার মতো কোনো ঘটনা যেন জাতীয় ঈদগাহে না ঘটে সে জন্য এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মহানগর পুলিশ।

ডিএমপি সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, সরকারের উপদেষ্টা, সচিবসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন। এবার কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে মুসল্লিদের ময়দানে প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে। তাছাড়া মৎস্য ভবন, প্রেসক্লাব এবং শিক্ষাভবন পর্যন্ত টহলে নিয়োজিত থাকবে র্যাব-পুলিশ। আগামীকাল সোমবার (ঈদের আগের দিন) সেখানে নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। ময়দানের প্রধান গেটের মুখে র্যাব ও পুলিশের পৃথক দুটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বসানো হয়েছে। থাকছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি)।

জাতীয় ঈদগাহের মূল ফটকে থাকবে ৭টি ডগ স্কোয়াড। এছাড়া থাকছে অত্যাধুনিক মেটাল ডিটেক্টর। শরীরে স্পর্শ করা ছাড়াই সন্দেহভাজন কিছু শনাক্ত করা যায় এসব ডিটেক্টর দিয়ে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, শিক্ষা ভবন, হাইকোর্ট প্রাঙ্গন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং প্রেসক্লাব এলাকায় আলাদা চেকপোস্ট বসানো হবে। ঈদগাহের ভেতরে ঢোকার মুখে আবারো চেকপোস্ট থাকবে।

জাতীয় ঈদগাহের ভেতর ও বাইরে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। পাশাপাশি খোলা হয়েছে পুলিশের একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষও। সেখান থেকে পুরো ঈদগাহ এলাকা মনিটরিংয়ের আওতায় থাকবে।

মাসুদুর রহমান বলেন, তিনভাবে টহল দেয়া হবে পুরো ঈদগাহ প্রাঙ্গন। হেঁটে, মোটরসাইকেলে এবং গাড়িতে। বিপুল পরিমাণ পোশাকি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।

ঈদগাহের নিরাপত্তায় এলিট ফোর্স র‌্যাবের পাশাপাশি থাকছে ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষিত দল ‘সোয়াত’। এছাড়া মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত গোয়েন্দা সদস্য এবং ডগ স্কোয়াড।

ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার এ কর্মকর্তা আরো বলেন, ঈদ উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়তে আগ্রহী মুসুল্লিদের প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনারা সুশৃঙ্খলভাবে ঈদগাহে আসুন। সঙ্গে কোনো ডিভাইস, বিস্ফোরক, ব্যাগসহ সন্দেহভাজন কোনো কিছু নিয়ে আসবেন না।

অন্যদিকে র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং প্রধান মুফতি মাহমুদ খান বলেন, জাতীয় ঈদগাহে র‌্যাবের তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। প্রবেশ পথে র্যাবের পোশাকধারী ও সাদা পোশাকের সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। ঈদে মানুষ যেন নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারে সে জন্য নিরাপত্তার সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই