জাতীয় লিগে চ্যাম্পিয়ন খুলনা

ওয়ালটন ১৭তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) শেষ রাউন্ডেই নির্ধারিত হলো চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রথম স্তরের ঢাকা মেট্রো ও ঢাকা বিভাগের ম্যাচটির প্রথম তিনদিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় ফলে জয়ের পাল্লাটা ভারী হচ্ছিল খুলনার দিকে।

চতুর্থ এবং শেষ দিনে দুই ঢাকার খেলা শুরু হলেও তা শেষ হয় নিষ্প্রান ড্র দিয়ে। সুতরাং, প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে রংপুরের সঙ্গে ড্র করে জাতীয় লিগে নিজেদের চতুর্থ শিরোপা ঘরে তুলেছে আব্দুর রাজ্জাকের খুলনা।

দুই মৌসুম পর আবার জাতীয় ক্রিকেট লিগের শিরোপা জিতলো খুলনা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঢাকা মেট্রোর চেয়ে ১০ পয়েন্ট এগিয়ে  থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আব্দুর রাজ্জাক-সাকিব-মুস্তাফিজদের দল।

অবনমন হয়েছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন রংপুর বিভাগের (৩৪ পয়েন্ট)। প্রথম স্তর থেকে দ্বিতীয় স্তরে নেমে গেছে দলটি। আর ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্তরের সেরা দল হিসেবে প্রথম স্তরে উঠেছে বরিশাল বিভাগ। প্রথম স্তরে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকা মেট্রো দ্বিতীয় ও ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকা বিভাগ তৃতীয় স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করেছে।

রংপুর-খুলনা বিভাগ
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনার শিরোপা জয়ের দিন সেঞ্চুরি করেছেন ইমরুল কায়েস। তার আক্রমণাত্মক সেঞ্চুরির সুবাদে ৭ উইকেটে ২৮৬ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে খুলনা। তাদের ইনিংস শেষেই ড্র মেনে  নেন দুই অধিনায়ক।

এদিন ১০৪ বলে ১০৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন ইমরুল। এছাড়া ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমান। রংপুরের তানভীর হায়দার ৫৬ রানে পান ২টি উইকেট। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে রংপুরের এই ব্যাটসম্যানের হাতে।

এবার নিয়ে চতুর্থবারের মতো জাতীয় লিগের শিরোপা জিতল খুলনা, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ৫বার করে শিরোপা জেতার রেকর্ড রয়েছে রাজশাহী ও ঢাকার। আর খুলনা এর আগে ২০০২-০৩, ২০০৭-০৮ ও ২০১২-১৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন।

চট্টগ্রামে রংপুর-খুলনার ম্যাচে বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনের খেলা পরিত্যক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় দিনে খেলা হয় মাত্র ৭ ওভার। এরপর ৭ উইকেটে ৩২৪ রান নিয়ে তুতীয় দিনশেষ করেছিল রংপুর। এরসঙ্গে মঙ্গলবার শেষ দিনে আর ২০ রান যোগ করেই অলআউট হয়ে যায় রংপুর। জবাবে ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরিতে (১০৭) খুলনা ৭ উইকেটে ২৮৬ তুলে ইনিংস ঘোষণা করার পরই ড্র হয়ে যায় ম্যাচটি।

স্কোর কার্ড
রংপুর: ১১৩.৫ ওভারে ৩৪৪ (তানভীর ১০৫, ধীমান ৬৯, শুভ ৬৬; রাজ্জাক ৫/১২৭, মুরাদ ৪/৬৬)।
খুলনা: ৭০ ওভারে ২৮৬/৭ ডিক্লে. (ইমরুল ১০৭, জিয়াউর ৬২*, বক্কর ২৭, এনামুল হক ২৭; তানভীর ২/৫৬)।
ফল: ম্যাচ ড্র। ম্যাচ সেরা: তানভীর হায়দার (রংপুর)।

ঢাকা-ঢাকা মেট্রো
কক্সবাজারের  শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট  স্টেডিয়ামে শেষ রাউন্ডে ঢাকা মেট্রো ও ঢাকা বিভাগের ম্যাচের প্রথম তিন দিনের খেলাই বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। প্রথম স্তরের এই ম্যাচে মঙ্গলবার চতুর্থ ও শেষ দিনে  টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা মেট্রো ৩ উইকেটে ২৮৬ রান তোলার পরই ড্র হয়ে যায় ম্যাচটি।

ম্যাচে ঢাকা মেট্রোর প্রাপ্তি বলতে ওপেনার শামসুর রহমানের সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পরই ব্যক্তিগত ১০৫ রান করে বিদায় নেন শামসুর। দ্বিতীয় উইকেটে মারূফের সঙ্গে ২০৯ রানের বিশাল জুটি গড়েন শামসুর। এ মৌসুমে এটা তার তৃতীয় সেঞ্চুরি।

অবশ্য সেঞ্চুরি হতো আরো একটি। তিনে নামা মেহেদী মারুফ ব্যক্তিগত ৯৯ রান নিয়ে চা বিরতিতে গেলেও বিরতির পর আর ক্রিজে আসেননি, ‘রিটায়ার্ড হার্ট’। এছাড়া ফিফটি করে অপরাজিত ছিলেন মেহরাব হোসেন জুনিয়র (৫২)।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা মেট্রো: ৭৫ ওভারে ২৮৬/৩ (শামসুর ১০৫, মেহেদি ৯৯*, মেহরাব ৫২*, মার্শাল ১৯, মাহবুবুল ১/২৭, শরীফ ১/৫৬-১, নাজমুল ১/৬৯-১)। ফল: ড্র।



মন্তব্য চালু নেই