জানেন কি! আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে এই বদ অভ্যাসগুলো

কিছু অভ্যাস প্রতিদিনের সঙ্গী আমাদের। এইগুলো ছোট থেকেই আমাদের মাঝে চলে আসে। কিন্ত এসব অভ্যাসের মধ্যে কিছু বদঅভ্যাস মিশে যায় অঙ্গাঅঙ্গিভাবে।

আমাদের অজান্তেই মনের ভেতর দারুণভাবে বাসা বাধে সেসব অভ্যাস। কিন্তু কখনোই ভেবে দেখি না এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে। আমন্ত্রণ জানাতে পারে নিশ্চিত মৃত্যুঝুঁকিকেও।

আসুন জেনে নেই বদুভ্যাসগুলো কি কি যা আপনার দেহের মিশ্চিত ক্ষতি করছে –

১। রাতে দেরিতে ঘুমানো

রাতে অনেক দেরিতে ঘুমানো বা না ঘুমিয়ে টুকিটাকি কাজে ব্যস্ত থাকা অনেকেরই প্রিয় অভ্যাস। কেউ কেউ এটাকে নিজের স্টাইলও মনে করেন।

এই অভ্যাস নিজের যে কতোটা ক্ষতি করে তা বুঝতেই পারেন না। রাতে না ঘুমানোর অভ্যাস দেহের ইমিউন সিস্টেমকে (রোগ প্রতিরোধের স্বয়ংক্রিয় ও স্বনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি) একেবারে নষ্ট করে দেয়। যার কারণে দেহে খুব সহজে বাসা বাঁধে মারাত্মক সব রোগ। তাই রাতের বেলা ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার ঘুম কখনোই ভুলে যাওয়া চলবে না।

২। দীর্ঘক্ষণ হেডফোনে গান শোনা

ইদানীং তরুণ প্রজন্মের কাছে সারাক্ষণ হেডফোনে গান শোনাটা একটি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি রাস্তাঘাটে চলতে গেলেই কানে হেডফোন লাগিয়ে ঘুরে বেড়ান। এতে করে কম বয়সে শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়ার মতো সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়াও কানে নানা ধরণের সংক্রমণজনিত রোগ দেখা দিতে পারে।

৩। নাক খোঁচানো

দৃষ্টিকটু এই কাজটি আমরা অনেকেই যখন তখন করে বসি। একটু অবসর পেলেই নাক খোঁচাতে বসে যান এমন মানুষের সংখ্যা একেবারে কম নয়। নাকের সঙ্গে আমাদের মুখ, চোখ এবং মস্তিষ্কের সরাসরি সংযোগ রয়েছে। যখন তখন নাক খোঁচানোর ফলে আপনার নখে থাকা জীবানু সেসব অঙ্গে প্রবেশ সহজেই। ফলে সাবধান হোন এখনি।

৪। নখ কামড়ানো

নখ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। যাদের এই অভ্যাস রয়েছে তারা যে কোনো সময়ই নখ কামড়াতে থাকেন। অথচ সারদিন কতো জীবাণুযুক্ত স্থানেই না আপনি হাত দিচ্ছেন, আপনার এই নখ কামড়ানোর অভ্যাসের কারণে জীবাণু সরাসরি মুখ থেকে পেটে চলে যাচ্ছে। এটি অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ।

৫। ভারি ব্যাগ বহন করা

প্রতিদিন স্কুল-কলেজ, অফিস বা ঘুরতে যাওয়ার সময় অনেকেই ভারী ব্যাগ বহন করে থাকে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে ঠাসা ব্যাগের ওজন হয় অনেক বেশি।

দীর্ঘদিন ধরে দীর্ঘক্ষণ এই ভার বহন করার বদঅভ্যাসটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কাঁধ ও মেরুদণ্ডের হাড় ক্ষয়ে যাওয়া, পিঠের হাড় বাকিয়ে যাওয়া, একাধারে ঘর্ষণের ফলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। আর এ সবই বাড়িয়ে দেবে ‘স্পন্ডেলাইটিস’ নামে একটি রোগের ঝুঁকি। গলার মাংসপেশিতে অবিরত চাপ মাথায় পৌঁছে যায় সহজেই। তারপর শুরু হয় তীব্র মাথা ব্যথা।



মন্তব্য চালু নেই