জানেন কি, পুরুষরা কেন দ্রুত টাক হয়?

নারী-পুরুষ সবারই মাথায় কম বেশি টাক পড়ে, চুল পাতলা হয়ে চকচকে দেখা যায় চাঁদিটা। কিন্তু তারপরেও খেয়াল করলে দেখা যাবে যে, শেষ অব্দি কোন নারীর মাথাই কিন্তু পুরোপুরি চুলশূন্য হয়ে যায় না। যদি হয় তবে সেটা পুরুষের। কিন্তু কেন এমন হয়? নারীর চুল একেবারে কমে গেলেও কেন সেটা পুরোপুরি পড়ে যায় না? পুরুষদেরই কেন ন্যাড়া হবার ঝামেলাটা পোহাতে হয়? সম্প্রতি জানা গিয়েছে এর আসল কারণ। চলুন জেনে আসি সেটা।

সম্প্রতি চুল বিশেষজ্ঞ ডাক্তার উইলিয়াম ইয়েটস একইসাথে পুরুষদের টাক হয়ে যাওয়া আর বাবা কিংবা মা কার ভূমিকা এক্ষেত্রে বেশি সেটা জানার পদ্ধতি নির্ণয় করেছেন (বিজনেস ইনসাইডার)। নিজের সমস্ত অভিজ্ঞতাকে জড়ো করে বেশকিছু বছরের অভিজ্ঞতা ও পরিশ্রমের ফসল হিসেবে এই তথ্যগুলো প্রকাশ করেন ইয়েটস। এক্ষেত্রে চুল পড়ে যাওয়া বা টাক হওয়ার সাথে মানুষের শরীরে অবস্থিত একটি হরমোনের অবদানের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

ইয়েটস জানান, এই বিশেষ হরমোনটি সবার শরীরে থাকেনা। কারো কারো থাকে। আর হরমোনটি টেস্টোস্টেরনেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা সমগোত্রীয়। ফলে নারী নয়, পুরুষদেরকেই সবসময় এই হরমোনের প্রভাবে হয়ে যেতে হয় টাক। তবে এরপরেও প্রশ্ন থেকে যায় যে, তাহলে সব পুরুষই কেন চকচকে টাকের অধিকারী হয়না? উত্তরটা খুব সোজা।

ইয়েটস জানান এই হরমোন কারো শরীরে থাকবে নাকি থাকবেনা সেটা অনেকটাই জীনগত ব্যাপার। বংশগতভাবেই এই হরমোনটিকে নিজেদের ভেতর নিয়ে আসে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু। তবে তারমানে এই নয় যে সেটি আপনার বাবা বা মায়ের দিক থেকে এসেছে। হতে পারে সেটা আপনার বংশের সবার ভেতরেই অনেককাল আগে থেকে চলে আসছিল। আর শেষ অব্দি আপনার বেলাতেই পরিপূর্ণতা পেয়েছে!

পুরুষদের টাক হয়ে যাওয়া নিয়ে বলতে গিয়ে অবশ্য বাবা আর মায়ের ভেতরে মায়ের বংশের প্রভাবকেই এগিয়ে রাখেন ইয়েটস (ডেইলি নিউজ)। এক্ষেত্রে তিনি জানান যে, বাবা নয় বরং মায়ের বংশগত হরমোনটিই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রভাবিত করে একজন পুরুষকে। পরবর্তীতে টেস্টোস্টেরনের ফলে সেটা আরো বেশি পরিণতভাব পায় আর পুরুয়েরা হয়ে যায় এক্কেবারে টাক!



মন্তব্য চালু নেই