জানেন সাদ্দামের মৃত্যু পরোয়ানা কখন জারি হয়? চাঞ্চল্যকর গোপন তথ্য ফাঁস করলেন মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষক

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার (৯/১১) পর গৃহীত পরিকল্পনার প্রথম দিনেই ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যু পরোয়ানা স্বাক্ষর করা হয় বলে জানিয়েছেন দেশটির বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাবেক একজন বিশ্লেষক। ইরাককে বুশ প্রশাসন সর্বদাই ‘অসমাপ্ত কাজ’ হিসেবে দেখত বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি জন নিক্সন নামের সাবেক ওই সিআইএ কর্মকর্তা গ্রেফতারের পর সাদ্দাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি বিবিসি রেডিও-৪ এর একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নাইন ইলেভেনের পরই ইরাকের একনায়কের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়। আমাদের বলা হয় ইরাক একটি অসমাপ্ত কাজ। কিন্তু আমরা এর অর্থ বুঝতে পারিনি। তবে তারা সেখানে কিছু করতে চায় সেটি বুঝতে পারি।

জন নিক্সন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম সব সত্য কথা বলেছেন। তারা (বুশ প্রশাসন) গ্রেফতারের প্রথম দিন থেকেই সিদ্ধান্তে অটল ছিল। আর মৃত্যু পরোয়ানা তো সেই ৯/১১ এর পরই জারি করা হয়’। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে সাবেক এই সিআইএ কর্মকর্তা বলেছিলেন, সাদ্দাম হোসেন যেকোনো বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করেননি সেটি তিনি জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতেই বুঝতে পারেন। এ ছাড়া ইরাক যুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন সময় বলেছেন, ইরাকে হস্তক্ষেপের বিষয়ে আমেরিকা নানামুখী ভুলের মধ্যে ছিল।

নিক্সন আরো বলেন, সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যুদণ্ড ছিল ইরাক যুদ্ধকে বৈধতা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তি খোঁজার চেষ্টা। সাদ্দামের বিচারকে গণবিচার আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ওই কক্ষে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে সাদ্দাম ছিলেন সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তি।
আটকের কিছুদিন পরই ২০০৬ সালে সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। একটি ভূগর্ভস্থ ঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করে মার্কিন বাহিনী।

ইরাকের তৎকালীন শাসক সাদ্দাম হোসেন গণবিধ্বংসী অস্ত্র মজুদ করেছেন এমন অজুহাতে দেশটিতে সামরিক অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এই অভিযোগ ছিল পুরোপুরিই ভিত্তিহীন। জাতিসঙ্ঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশ বুশের ইরাক অভিযানের বিরোধিতা করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পিছপা হয়নি। সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট



মন্তব্য চালু নেই