জাবি শিক্ষক নির্যাতন: ক্ষমাতে রেহাই সার্জেন্ট ইমরানের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাকিব আহমেদকে মারধর ও নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে রেহাই পেলেন পুলিশ সার্জেন্ট মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগও প্রত্যাহার করেছেন নির্যাতিত শিক্ষক।

জাবির শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনার পর ঘটিত তদন্ত ও এর পরিণতি সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে এ তথ্য জানা যায়।

জানা গেছে, জাবির শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনায় ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উত্তর বিভাগের সার্জেন্ট মোহাম্মদ ইমরান হোসেনকে প্রথমে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। পরে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলে তিনি ওই শিক্ষকের বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে ছুটে গিয়ে ক্ষমা চান।

জাবির নির্যাতিত সহকারী অধ্যাপক রাকিব আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, “ঘটনার পরে আমি তো ক্যাম্পাসে থাকতাম। ওই সময় সার্জেন্ট ইমরান প্রায় সময় আমার বাবা-মা ও শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে গিয়ে হাত-পা ধরে কান্নাকাটি ক তেন। একপর্যায়ে তিনি আমার পরিবারের সদস্যদের ম্যানেজ করে ফেলেন। মাস চারেক আগে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তার অফিসে আমাকে ডেকে নেন। পরে আমি তাকে (ইমরান) জিজ্ঞাসা করি, “আপনি আপনার ভুল বুঝতে পেরেছেন?” তিনি জীবনে আর এমন কাজ করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন। এরপর আমি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিই।”

গত বছরের ১০ মে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরার হাউস বিল্ডিং এলাকায় নির্যাতনের শিকার হন জাবির গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাকিব আহমেদ। তিনি বাবা-মাকে নিয়ে বিমানে সিলেট যাওয়ার জন্য শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন। পথে হাউস বিল্ডিং এলাকায় গাড়ি থামাতে সার্জেন্ট ইমরানের সংকেত লক্ষ করেননি বলে তাদের গাড়ি থানায় নিয়ে যেতে চান তিনি। এ সময় অধ্যাপক রাকিব আহমেদ ভুল স্বীকার করেন এবং প্রয়োজনে মামলা দিয়ে গাড়ি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু সার্জেন্ট ইমরান গাড়ি থানায় নিতে চাইলে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে শিক্ষক রাকিবকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন এবং পুলিশ বক্সে নিয়ে আটকে রাখেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষককে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পরদিন সার্জেন্ট ইমরানকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ কনট্রোল রুমে ন্যস্ত করা হয়। শিক্ষককে নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ। একটির প্রধান ছিলেন ডিসি নর্থ (ট্রাফিক) কুদ্দুস আমিন; অন্যটির প্রধান ছিলেন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার ইকবাল হোসেন।

এ বিষয়ে জানতে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উত্তর বিভাগের উপকমিশনার প্রবীর কুমার রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার ফোন ধরেননি।



মন্তব্য চালু নেই