জামায়াত নেতাদের রিমান্ড চায় পুলিশ

নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার জামায়াতের সাবেক দুই সংসদ মুজিবুর রহমান ও মিয়া গোলাম পরওয়ারকে আদালতে তোলা হচ্ছে আজ। গতকাল পল্লবী থেকে ২০টি বোমাসহ তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিল পুলিশ। এসময় দলটির আরও ১১ কর্মীকে আটক করা হয়।

আটকের পর এই ১৩ জনকে রাতভর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানিয়েছে কোরবানির ঈদে পোশাক খাতে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল আটক জামায়াতের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদে জন্য জামায়াত নেতাকর্মীদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে ডিসি মিডিয়া মুন্তাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।

জামায়াতের দুই কেন্দ্রীয় নেতার পাশাপাশি আটক হন- হারুনুর রশিদ, মোহাম্মদ তসলিম, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কালাম আজাদ,মনসুর রহমান, জাকির হোসাইন, এ বি এম নুরুল্লাহ, আবুল হাশেম, মোহাম্মদ সাব্বির, মজিবর রহমান ভূইয়া ও আশরাফুল আলম ইকবাল।

ওই বাসা থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে কুরিয়ারে আসা অন্তত ২৫টি লাঠি উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া জামায়াত-শিবিরের তিন থেকে চারশ’ সদস্যের সংগঠনে চাঁদা দেওয়ার রশিদও পাওয়া গেছে।

গোলাম পরওয়ারের বিরুদ্ধে ১২টি, মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ৪৫টি ও তসলিমের বিরুদ্ধে নাশকতার নয়টি মামলা আছে।

২০১২ সালের ৫ নভেম্বর মতিঝিল সিটি সেন্টারের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের একটি মামলায় আদালতে দুই নেতার বিচার চলছে।

এদিকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে জামায়াতের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই বাড়িতে মুজিবুর রহমান শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক করছিলেন।

গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচিও দিয়েছে জামায়াত।



মন্তব্য চালু নেই