জাম্বু ঘাস চাষ পদ্ধতি জেনে নিন

জাম্বু ঘাস দেখতে সবুজ রং এর। জাম্বু ঘাস সাধারণত থেকে ৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এর পাতা ২.৫ থেকে ৪ সেন্টিমিটার চওড়া হয়। এই ঘাস খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এই ঘাসের বীজ ছোট, গোলাকার ও ধূসর রং এর হয়। জাম্বু ঘাসের বেশ কিছু প্রজাতি আছে। বিভিন্ন প্রজাতির গঠন ও বিভিন্ন। কিছু প্রজাতি দেখতে লতা সদৃশ। এক থেকে বহু বর্ষজীবী ঘাস, একবার লাগালে দুই থেকে আড়াই বছর পর্যন্ত উৎপন্ন হয়।

রাসায়নিক উপাদানঃ- জাম্বু ঘাসে প্রোটিন, নিউট্রাল ডিটারজেন্ট ফাইবার, এসিড ডিটারজেন্ট ফাইবার, এসিট ডিটারজেন্ট লিগনিন, হেমিসেলুলোজ, সেলুলোজ, অ্যাশ ইত্যাদি উপাদান বিদ্যামন।

জাম্বু ঘাসে রাসায়নিক উপাদান সমূহের পরিমানঃ
উপদান —————————————পরিমান(%)
ড্রাই ম্যাটার —————————————–১৫.৯
ক্রড প্রোটিন——————————————- ১১
নিউট্রাল ডিটারজেন্ট ফাইবার —————–৭৫.২
এসিড ডিটারজেন্ট ফাইবার ——————৩৯.৭
এসিট ডিটারজেন্ট লিগনিন ——————–৪.৩
হেমিসেলুলোজ ———————————–৩৫.৫
সেলুলোজ —————————————৩৫.৪
অ্যাশ ——————————————-৮.৫৯
শক্তি ——————————————–৩.২৮

রোপণের সময়ঃ-
যে কোন সময় তবে উত্তম সময় হচ্ছে ফাল্গুন-চৈত্র মাস।

মাটির ধরনঃ-
প্রায় সব মাটিতেই জন্মে। তবে উত্তম বেলে-দো-আঁশ মাটিতে ভাল।

জমি তৈরিঃ-
উত্তমভাবে চাষ করে জমি তৈরি করতে হবে। বন্যা পরবর্তী কাদা মাটিতে লাগানো যেতে পারে।
কাটিং এর সংখ্যাঃ- হেক্টর প্রতি ৩৫-৪০ হাজার কাটিং/মাথা।

বীজ বপণের পদ্ধতি ও পরিমাপঃ

সারি-সারি ১০ ইঞ্চি , বীজ থেকে বীজ ৬ ইঞ্চি এবং ২টি বীজ/গর্ত।
সারিতে বপনঃ ৩ কেজি বীজ/একর এবং

ছিটিয়ে বপনঃ ৪ কেজিবীজ/একর।

বীজ প্রাপ্তিস্থানঃ
জেলা শহরগুলোতে খোঁজ করে কিনতে হবে।
অথবা- নিকটস্থ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস এ যোগাযোগ করুন।
কাটিং লাগানোর দূরত্বঃ-
লাইন থেকে লাইন ৭০ সে. মি. কাটিং থেকে কাটিং- ৩৫ সে.মি.।

সার প্রয়োগঃ- গোবর/জৈব সার ১৫-২০ টন/হেক্টর।
জমি তৈরির সময়ঃ-
ইউরিয়া ৫০ কেজি প্রতি হেক্টর।
টিএসপি ৭০ কেজি প্রতি হেক্টর।
এম পি সার ৩০ কেজি্র প্রতি হেক্টর।

ঘাস লাগানোর ১ মাস পরঃ- ইউরিয়া ৫০-৭৫ কেজি প্রতি হেক্টর।

প্রতি কাটিং কাটার পরপরঃ- ইউরিয়া ৫০-৭৫ কেজি প্রতি হেক্টর।

সেচঃ- খরা মৌসুমে ১৫-২০ দিন পর পর।

ঘাস কাটার সময়ঃ
৩০-৪৫ দিন পর পর গ্রীষ্মকাল।
৪০-৫০ দিন পরপর শীতকালে। (সেচ সুবিধা সাপেক্ষে)
বছরে কতবার কাটা যায়ঃ- প্রথম বছর ৫-৬ বার, দ্বিতীয় বছর ৭-৮ বার ।

বছরে কাঁচা ঘাসের উৎপাদনঃ- ১০০-১৫০ টন/হেক্টর।

সংরক্ষণঃ- সাইলেজ তৈরি।

জাম্বু ঘাসে অনেক পুষ্টিগুন বিদ্যমান। জাম্বু ঘাস সব থেকে ভালো কাজ করে দুগ্ধবতী গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে। হজমের সমস্যা হলে বা পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা জাম্বু ঘাস অনেক উপকারি।

৫ কেজি ঘাস/গরু/দিন(কয়েক বারে)খাওয়াতে হবে।

সতর্কতাঃ
সেচ,বৃষ্টি ও ইউরিয়া প্রয়োগের পর ৬ দিন ঘাস ব্যবহার না করা ভাল।

সূত্রঃ কৃষি উদ্যোক্তা ও VETSBD.
Compiled and Edited by:
ডাঃ মোঃ ফারুক আহমেদ, (Md Faruk Ahmmed)
ভেটেরিনারি সার্জন, আদিতমারী, লালমনিরহাট।



মন্তব্য চালু নেই