জার্মানিতে বিশ্বের প্রথম অনলাইন শরণার্থী বিশ্ববিদ্যালয় চালু

শরণার্থীদের শিক্ষায় সহায়তা দিতে জার্মানিতে চালু হল বিশ্বের প্রথম শরণার্থীবিষয়ক অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয়। কিরন ইউনিভার্সিটি নামে জার্মানির বার্লিন ভিত্তিক এ অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাথমিকভাবে বিশ্বব্যাপী ১ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে উচ্চ শিক্ষা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। খবরটি জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

বর্তমানে ৫টি ভিন্ন স্কুলের কোর্সগুলো পড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা ১ হাজার। আরও ১৫ হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, যেসব শিক্ষার্থী তাদের সঙ্গে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে চান, তাদের কাছে একটি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ জরুরি। তবে যাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই, তাদেরকে অফলাইনে শিক্ষা প্রদানেরও সুযোগ রাখা হয়েছে। অর্থাৎ যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ আছে সেখান থেকে বিভিন্ন কোর্সের পাঠ্যবিষয়গুলো তারা ডাউনলোড করে নিয়ে পড়তে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পড়ার সুযোগ পেতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর থেকে শরণার্থীর স্বীকৃতিসহ বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দিতে হয়।

অলাভজনক এ বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অক্টোবরে একটি ক্রাউডফান্ডিং ক্যাম্পেইন শুরু হয়। এরইমধ্যে ২,১৬,৬৩৬ ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে কর্তৃপক্ষ।

যেসব কোর্স পড়ানো হবে
হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, এমআইটি এবং ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় এমন কোর্সগুলো পড়ানো হবে কিরন বিশ্ববিদ্যালয়ে। কোর্সগুলো ইংরেজীতে পড়ানো হবে। ব্যবসায় প্রশাসন, স্থাপত্যবিদ্যা, প্রকৌশলবিদ্যা, কম্পিউটার বিজ্ঞান, আন্তঃসাংস্কৃতিক শিক্ষায় ব্যাচেলর ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
শিক্ষার্থীদের প্রথম দুই বছর অনলাইনে পড়াশোনা করতে হবে এবং তৃতীয় বছর অফলাইনে। প্রস্তুতিমূলক কোর্স, ভাষা কোর্স, মনোগত পরামর্শসহ বিভিন্ন অতিরিক্ত কোর্সগুলো বার্লিনে করানো হবে।

অংশীদার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি পরিমাণ আসন দিচ্ছে তার উপর নির্ভর করছে কিরন বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা। আর সেকারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির আসন সংখ্যা সীমিত। তবে প্রথম বছরে ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার সুযোগ দেয়ার পরিকল্পনা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তুরস্ক, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যেও কার্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।



মন্তব্য চালু নেই