জিএসপি ছাড়া টিকফা অর্থবহ হবে না

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, মার্কিন প্রতিনিধি দল আগামী নভেম্বরে টিকফা বৈঠকের ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছে। তবে আমি তাদেরকে স্পষ্ট বলে দিয়েছি জিএসপি না দেয়া হলে টিকফা চুক্তি কোনোভাবেই অর্থবহ হবে না।

আজ বুধবার সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যবিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর) এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা বলেন।

বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পোশাক কারখানার অগ্রগতিতে যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট। বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল আমাদের জানিয়েছে, পোশাক কারখানার উন্নয়নে আমাদের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তারা চট্টগ্রাম ইপিজেড পরিদর্শনে গিয়ে সরাসরি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। শ্রমিকরা তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারেও প্রতিনিধি দলের কাছে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

তোফায়েল বলেন, আমি তাদের স্পষ্ট জানিয়েছি, আমরা জিএসপি ফিরে পেতে ১৬টি শর্তই পূরণ করেছি। এ ব্যাপারের আমাদের আর কিছু করার নেই। কর্মপরিবেশ, শ্রমিক নিরাপত্তা আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি প্রতিনিধিদলকে বলেছি জিএসপি দেয়া হয় টোবাকো, সিরামিকসহ কয়েকটি আইটেমে। তা খুবই সামান্য, মাত্র ২৩ মিলিয়ন ডলার। গার্মেন্টস খাতে কখনও জিএসপি দেয়া হয়নি। কিন্তু পোশাক কারখানা নিরাপত্তার কথা বলে এটা বন্ধ রাখা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে ইউএসটিআর প্রতিনিধি দল আগামী নভেম্বরে টিকফা বৈঠকের ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। আমি স্পষ্ট বলেছি, জিএসপি না দেয়া হলে টিকফা চুক্তি কোনোভাবেই অর্থবহ হবে না।

ট্রেড ইউনিয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, আমি তাদের জানিয়েছি, ইপিজেডে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন করে দেওয়া হয়েছে। এতে শ্রমিক-মালিক-সরকার সবাই খুশি। ইপিজেডে কারখানা পরিবেশ ভালো, শ্রমিকদের বেতন ভালো। শ্রমিকরাও চায় তাদের মধ্যেই নেতৃত্ব থাক। এর বেশি কিছু করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।



মন্তব্য চালু নেই