জিডিপির প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি হিসাব অবাস্তব : বিশ্বব্যাংক

চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সরকারের প্রাক্কলিত মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার অর্জন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক।

সংস্থাটির মতে, রফতানি ও ব্যক্তি খাতের ঋণ প্রবাহ ছাড়া জিডিপির সঙ্গে সম্পৃক্ত অর্থনীতির সব সূচক নেতিবাচক, তাহলে কিসের ভিত্তিতে চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫৫ থেকে বেড়ে ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ হবে?

শনিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিশ্বব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। এসময় বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমও ফান, লীড ইকোনমিষ্ট ড. জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বলা হয়, বাংলাদেশের জ্বালানি, অবকাঠামো ও প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। চলমান প্রবৃদ্ধির ধারা বিরাজমান থাকলে আগামী অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৮ শতাংশ হতে পারে।

সংস্থাটি বলছে, অর্থনীতিতে এখনো ঝুঁকি আছে। জ্বালানি, অবকাঠামো ও প্রতিযোগিতার সক্ষমতার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ব্যবসার পরিবেশ ও সুযোগকে সহজ করতে হবে।

অর্থনীতির সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু কিছু কিছু প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ রযেছে। রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে দুর্বলতা এখনো রয়েছে। উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন এখনো ধীর গতি। বাস্তবায়নের দুর্বলতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না। বাস্তবায়ন হার গত বছরগুলোর তুলনায কম।

জিডিপি নিয়ে এক প্রশ্নর জবারে তিনি বলেন, বেতন বেড়েছে বলে জিডিপি বাড়তে পারে। তবে তা টেকশই হবে না।

তিনি আরো বলেন, সরকারি বিনিয়োগের গুণগতমান, বাস্তবায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে সমস্যা এখনো রয়েছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ স্থবিরতা এখনো কাটেনি। যে প্রবৃদ্ধি বহমান আছে তা টেকসই হবে কিনা সেটা নিয়ে উদ্বিগ্নতা রয়েছে। কারণ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়াতে না পারলে যা আছে সেটা দিয়ে এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা সম্ভব হবে না। অন্যদিকে কৃষিতে উৎপাদনশীলতা ও প্রবৃদ্ধির হার কমছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শাসন ব্যবস্থায় দুর্বলতা আর্থিক খাত ঝুঁকিতে রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগের বড় ধরনের পতন ঘটেছে। আর শেযারবাজার নিয়ে অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। কাজে আসেনি পলিসি সহায়তা।



মন্তব্য চালু নেই