জিততে বাংলাদেশের চাই ৩১০

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বড় পুঁজি পেয়েছে ইংল্যান্ড। বেন স্টোকসের সেঞ্চুরি এবং বেন ডাকেট ও জস বাটলারের ফিফটিতে ৮ উইকেটে ৩০৯ রান করেছে ইংলিশরা।

জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ৩১০ রান। এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করে মাত্র একবারই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রান তাড়া করে জিতেছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

শুক্রবার দুপুরে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা হয় ভালো। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জেসন রয় ও জেমস ভিন্স মিলে ৭ ওভারে তোলেন ৪১ রান। ইনিংসের অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে ভিন্সকে বিদায় করে ৪১ রানের জুটি ভাঙেন পেসার শফিউল ইসলাম। তার বলে তুলে মারতে গিয়ে মিডঅনে মাশরাফিকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফিন্স (২০ বলে ১৬)।

ভিন্স ফিরলেও ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন রয়। তবে ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে এসে রয়কে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব আল হাসান। তার বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লংঅফ বাউন্ডারির কাছে সাব্বির রহমানের হাতে ধরা পড়েন রয় (৪০ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪১)।

পরের ওভারে সাব্বিরের সরাসরি থ্রোয়ে রানআউট নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসা জনি বেয়ারস্টো (০)। ইংলিশ ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেনের বল মিডঅফে পাঠিয়ে দিয়েই রানের জন্য দৌড় দিয়েছিলেন। কিন্তু দ্রুত বল তুলে বুলেট গতির থ্রোয়ে স্টাম্পের বেল ফেলে দেন সাব্বির। ৬৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে তখন ভীষণ চাপে সফরকারীরা।

এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন অভিষিক্ত বেন ডাকেট ও বেন স্টোকস। দুজন মিলে দলের স্কোর শতরান পার করেন। স্টোকস তুলে নেন ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি। ব্যক্তিগত ৬৯ রানে সাজঘরে ফিরতে পারতেন স্টোকস। তবে তাসকিনের বলে মিডঅনে স্টোকসের ক্যাচ ফেলে দেন মাহমুদউল্লাহ। পরের ওভারে মাশরাফির বলে ডিপ কভারে স্টোকসের আরেকটি ক্যাচ ফেলে দেন মোশাররফ হোসেন রুবেল।

অবশেষে ৩৯তম ওভারে ডাকেটকে ফিরিয়ে ১৫৩ রানের বড় জুটি ভাঙেন শফিউল। এর আগেই অবশ্য ফিফটি তুলে নেন প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা ডাকেট। শফিউলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৭৮ বলে ৬ চারে ৬০ রান করেন এই বাঁহাতি।

ডাকেট ফিরলেও দুবার জীবন পাওয়ার সুযোগটা কাজে লাগান স্টোকস। ৯৮ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পরেই অবশ্য মাশরাফির বলে সাব্বিরকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্টোকস। ১০০ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ১০১ রান।

আর শেষ দিকে অধিনায়ক জস বাটলারের ঝোড়ো ফিফটিতে তিনশ’ ছাড়ানো পুঁজি পায় ইংল্যান্ড। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৩ রান করেন ইংলিশ অধিনায়ক।

বাংলাদেশের পক্ষে অধিনায়ক মাশরাফি, শফিউল, সাকিব নেন ২টি করে উইকেট। মাশরাফি ১০ ওভারে রান দিয়েছেন ৫২, শফিউল ৯ ওভারে ৫৯, সাকিব ১০ ওভারে ৫৯।

বাংলাদেশের শেষ ম্যাচের একাদশ থেকে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে খারাপ খেলা সৌম্য সরকার একাদশে সুযোগ হারিয়েছেন। ফিরেছেন ইমরুল কায়েস। ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হয়েছে বেন ডাকেট ও জ্যাক বলের।

বাংলাদেশ দল: মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোশাররফ হোসেন রুবেল, তাসকিন আহমেদ ও শফিউল ইসলাম।

ইংল্যান্ড দল : জস বাটলার, জেসন রয়, জেমস ভিন্স বেন ডাকেট, জনি বেয়ারস্টো, বেন স্টোকস, মঈন আলী, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, ডেভিড উইলি ও জ্যাক বল।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৬টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। যার ১৩টিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড। ৩টি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে ইংল্যান্ড।



মন্তব্য চালু নেই