জুতো পালিশ করে পাঁচ বোনের বিয়ে দিলেন ‘বড়দিদি’!

তমলুকের মায়ারানি রুইদাস। সংসার চালাতে জুতো পালিশকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। রোজগার বাড়াতে জুতো সেলাইও করেন তিনি। বাড়ি তমলুকের জনুবসানে।

ঘরসংসার সামলে অফিসে কলম ঠেলা মহিলা অনেকে রয়েছেন। কিন্তু, অভাবের তাড়নায় জুতো পালিশ করে সংসার চালানোর সংগ্রাম ক’জন করতে পারেন?

তমলুকের মায়ারানি রুইদাস। সংসার চালাতে জুতো পালিশকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। রোজগার বাড়াতে জুতো সেলাইও করেন তিনি। বাড়ি তমলুকের জনুবসানে। তাঁর এই কাজের জন্য মহিষাদল প্রেস কর্নারের তরফ থেকেও সম্মানিত করা হয়েছে তাঁকে।

১০ বছর বয়স থেকে জুতো সেলাই করছেন মায়ারানি রুইদাস। টালির চালের বাড়িতে সদস্য সংখ্যাও নেহাত কম নয় মায়ারানির পরিবারের। বাবা-মা ও ছয় বোন। এদের মধ্যে মায়ারানিই বড়ো। বাবার হাত ধরে ছোট্ট মেয়েটি তখন যেত গুমটিতে। কে জানতো, নিজের সুখ জলাঞ্জলি দিয়ে অভাবের জন্য এই গুমটিই একদিন চালাতে হবে তাঁকে?

বাবা বিয়েও দিয়েছিল মায়ারানির। তবে সে সংসার টেকেনি। পণের টাকা দিতে না পারায় মেয়েকে ফিরিয়ে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোক। তারপরে আর ওমুখো হননি মায়ারানি।

ছোট্ট একটা গুমটি-নির্ভর সংসারে অভাব বেড়েই চলেছে। কষ্টের হয়ে উঠছে সংসার চালানো। তবে হাল ধরেছেন মায়ারানি। তমলুকের কাঁকটিয়া বাজারের গুমটিতে জুতো সেলাই ও পালিশ শুরু করেন তিনি। এরপর থেকে আর নিজের দিকে ফিরে তাকানো হয়নি। এক এক করে পাঁচটি বোনের বিয়ে দেন সেখান থেকেই।

এক সময় বাবাও মারা যান। এখন বোনেরা সকলেই ব্যস্ত নিজ সংসারে। ছোট্ট টালির ঘরে মা লক্ষ্মীরানির সঙ্গে থাকেন মায়ারানি।

ধীরে ধীরে মায়ারানির এই জীবন সংগ্রামের কথা জানতে পারে এলাকাবাসী। শ্রদ্ধা ও কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই