জেনে নিন ইউটিউব চালানোর কিছু চমকপ্রদ কৌশল

ইউটিউব বিশ্বের জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সাইট। এই সাইটে কম বেশি কেউ ঢুকেন না, তেমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

সূত্রের মতে বিশ্বে ১০০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে জনপ্রিয় এই সাইটে। এখানে জনপ্রিয় গান, সিনেমাসহ বিভিন্ন শক্ষিণীয় অনেক টিপসও পাওয়া যায়।

ইউটিউবের এই প্লাটফর্মকে বিশ্বের সর্ব-বৃহৎ ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম বলা হয়ে থাকে। তবে এর ব্যবহার আমরা কেউ কেউ জানলেও অনেকেই এই ইউটিউব ব্যবহারের কৌশল কিন্তু জানি না। যার ফলে মূল মজার থেকেই আমরা অনেক সময় বঞ্চিত হই।

তবে ইউটিউব ব্যবহারের কিছু কৌশল যদি আমাদের জানা থাকে, তবে ইউটিউব যে কোন মানুষের কাছে হয়ে উঠবে অসাধারণ উপভোগ্য একটি বিষয়। তাহলে আসুন ইউটিউব ব্যবহারে জেনে নিই কিছু চমকপ্রদ কৌশল?

ভিডিও লুপঃ ইউটিউবে সর্বশেষ যে ফিচারটি সংযোজিত হয়েছে তা হলো ভিডিও লুপ। এর সাহায্যে ব্যবহারকারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ভিডিও একাধিকবার দেখতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে শুধু ভিডিওটি ওপেন করে এর ওপর কার্সর রেখে রাইট বাটন ক্লিক করতে হবে। তারপর সেখান থেকে লুপ অপশন সিলেক্ট করতে হবে।

শুধু কি-বোর্ড ব্যবহারঃ ইউটিউব ব্যবহারের জন্য সবসময় মাউস ব্যবহার না করলেও চলবে। তবে সেক্ষেত্রে কি-বোর্ডের ব্যবহার জানতে হবে। যদি স্ট্যান্ডার্ড মডেলে ইউটিউব ব্যবহার করা হয় তাহলে কি-বোর্ডের শর্টকাটগুলো হবে নিম্নরূপ-

কি-বোর্ডের কে (K) বাটনের সাহায্যে আপনি ভিডিও শুরু এবং থামিয়ে রাখতে পারবেন। জে (J) এবং এল (L) -এর সাহায্যে ভিডিও যথাক্রমে ১০ সেকেন্ড ব্যাকওয়ার্ড এবং ফরওয়ার্ড করা যায়। এম (M) চাপলে ভিডিও মিউট বা শব্দহীন হবে। যেকোনও জায়গা থেকে ভিডিওর একেবারে শুরুতে যেতে হলে আপনাকে জিরো (0) বাটন চাপতে হবে। এ ছাড়াও কি-বোর্ডের এক (1) থেকে নয় (9) সংখ্যাগুলোর মধ্য থেকে যেকোনও একটি সিলেক্ট করলে আপনি ভিডিওটির নির্দিষ্ট অংশে চলে যাবেন। যেমন সাত (7) চাপলে আপনি ভিডিওটির ৭০ শতাংশ জায়গায় চলে যাবেন।

ডিফল্ট ভিডিও রেজ্যুলেশন সেট করাঃ আপনার যদি মন্থর (স্লো) ইন্টারনেট কানেকশন থাকে এবং বাফারিং-এর যন্ত্রণা এড়িয়ে চলতে চান তাহলে আপনাকে একটি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। তা হলো প্রথমেই আপনাকে ‘www.youtube.com/account_playback’ এই অপশনে যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে ‘I have a slow internet connection. Never play higher-quality video.’ এই অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।

নির্দিষ্ট আর্টিস্ট নির্বাচনঃ যদি আপনি নির্দিষ্ট আর্টিস্টের গান বা ভিডিও চান তাহলে প্রথমে হ্যাশ (#) টাইপ করে তারপর ওই আর্টিস্টের নাম টাইপ করে এন্টার চাপুন। যেমন: #Taylor Swift। এতে করে শুধু এই নির্দিষ্ট আর্টিস্টের গান বা ভিডিও-ই আসবে।

ভিডিও প্লেব্যাক স্পিড পরিবর্তনঃ আপনি যদি কখনও ভিডিওর গতি কমানো বা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন তাহলে প্রথমেই আপনাকে ভিডিওর সেটিংস অপশনে যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে স্পিড অপশনে গিয়ে গতি বাড়ানো বা কমানো যাবে।

অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট রাখাঃ আপনি ইউটিউবে কি করছেন সেটা যদি অন্য কাউকে না জানাতে চান তবে আপনার ইউটিউব সম্পর্কিত সব তথ্য গোপন রাখতে পারবেন। এজন্য প্রথমেই আপনি ইউটিউবে লগ ইন করুন। তারপর অ্যাড্রেস বারে ‘www.youtube.com/account_privacy’ এটা টাইপ করুন এবং সেখান থেকে আপনার যেগুলো দরকার সেসব বিষয় সিলেক্ট করলেই আপনার এই কার্যক্রম আর কেউ দেখতে পাবে না।

পরবর্তীতে দেখার জন্য সংরক্ষণঃ খুব মজার কিংবা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিডিও পেয়েছেন। কিন্তু দেখার সময় নেই। কি করবেন তখন? চিন্তা নেই। কারণ এটা আপনি পরবর্তীতে দেখার জন্য সংরক্ষণ করতে পারবেন। সেজন্য ‘+ Add To’ অপশন সিলেক্ট করে ‘Watch Later’ অপশনটি নির্বাচন করলেই হবে।



মন্তব্য চালু নেই