জেনে নিন একটু কম বয়সে বিয়ে করার দারুণ সুবিধাগুলো!

বাংলাদেশে এখনো অনেক কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয় বটে। কিন্তু তা ছাড়াও একটা সময়ে ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে বয়স ২০ হলেই তাদের বিয়ে দেবার জন্য উঠেপড়ে লাগতেন অভিভাবকেরা। বর্তমানে বেশীরভাগ মানুষই উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে ক্যারিয়ার তৈরি করে তার পরেই বিয়ের চিন্তা করেন। কিন্তু বয়স যখন বিশ কোটায়, অর্থাৎ বিশ থেকে ত্রিশের মাঝে, তখন বিয়ে করে ফেলার আছে চমকপ্রদ কিছু সুবিধা। আসুন দেখে নেই সেগুলো কী কী।

১) স্বামী স্ত্রী একেক অপরের জীবন এবং ব্যক্তিত্ব গড়তে সাহায্য করেন, ফলে তাদের মাঝে ব্যক্তিত্বের সংঘর্ষ কম হয়।

২) এই বয়সে বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সহজেই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে এবং এই বন্ধুত্ব বজায় থাকে সারাজীবন।

৩) হাতে হাত রেখে জীবনের অনেক বড় কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়ে দুজনকে। ফলে একটা বোঝাপড়া গড়ে ওঠে তাদের মাঝে।

৪) এই বয়সে পড়াশোনা বা ক্যারিয়ার নিয়ে অনেকেই চিন্তায় থাকেন, ভাবেন পাশে প্রেরণা দেবার একজন মানুষ থাকলে ভালো হলো। বিয়ে করে থাকলে এই মানুষটি সর্বক্ষণই আপনার পাশে থাকবেন।

৫) কম বয়সে সবাই ই থাকেন বেশ টানাটানির মধ্যে। বিলাসিতা ছাড়া এভাবে জীবন শুরু করে একটা সময়ে সচ্ছলতার মুখ দেখেন দুজনেই। এর ফলে একজনের প্রতি আরেকজনের আস্থা তৈরি হয়।

৬) আপনার যদি সন্তানের ইচ্ছে থাকে, তবে বয়স বিশের কোঠায় থাকতেই সন্তান নেওয়া সুবিধা। কারণ এ সময়ে শরীর সন্তান ধারণের জন্য উপযুক্ত থাকে।

৭) কম বয়স থেকেই নিজের জীবন দুজনের জন্য মানিয়ে নিয়ে তৈরি করলে কখনোই সমস্যা হয় না দুজনের মাঝে।

৮) কম বয়সে বিয়ে করলে জীবনের বিভিন্ন বাধা বিপত্তি সামলে একই সাথে কিছু সাফল্যের স্বাদ নেওয়া যায়। পরে বিয়ে করলে আর এই সুখটা পাওয়া যায় না।

৯) স্বার্থপর কোনো অভ্যাস গড়ে ওঠে না দুজনের কারও মাঝেই।

১০) দুজনে একসাথে ভবিষ্যত পরিকল্পনা করাটা সহজ হয়।

পরিশেষে এটাই বলা যায়, আপনি কোন বয়সে বিয়ে করছেন তা আসলে বড় কথা নয়। আপনি যদি এমন কাউকে বিয়ে করতে পারেন যার সাথে সারা জীবন আনন্দে কাটিয়ে দিতে পারবেন, তবে সেটাই গুরুত্বপুর্ণ।

মূল: 15 Perks of Getting Married in Your Early 20s (or Even Younger), POPSUGAR



মন্তব্য চালু নেই