জেনে নিন কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের কিছু টিপস

চশমার বিকল্প হিসেবেই কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করা হয়। আবার অনেকেই ফ্যাশনের জন্য ও কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার করে থাকেন। কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার নিয়ে একটি গল্প শোনা যায় যে, একজন ছাত্র ছয়মাস যাবৎ কন্টাক্ট লেন্স পরে থাকার ফলে আইবল ইটিং অ্যামিবার জন্য অন্ধ হয়ে যায়। যদিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে যাওয়া এই গল্পটি প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু এই ধরণের আই ইনফেকশন হতে পারে। আই ইনফেকশন প্রতিরোধ করা সম্ভব যদি কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করার সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। চলুন জেনে নিই কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের কিছু টিপস।

১। কন্টাক্ট লেন্স পরা ও খোলার পূর্বে হাত ভালো করে ধুয়ে ও মুছে নিন। অপরিচ্ছন্ন হাতে কন্টাক্ট লেন্স ধরলে চোখে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে।

২। যদি আপনি অ্যালার্জিতে ভোগেন তাহলে কন্টাক্ট লেন্স পরলে লক্ষণ আরো খারাপ হতে পারে। তখন লেন্স না পরে চশমা পরাই ভালো। তবে একান্তই কন্টাক্ট লেন্স ছাড়া থাকতে না পারলে কন্টাক্ট লেন্স ভালো করে পরিষ্কার করে নিয়ে পরুন।

৩। আপনার পার্সে অথবা অফিসের ডেস্কে আই ড্রপ রাখুন বিশেষ করে যদি কম্পিউটারে কাজ করে থাকেন। ড্রাই লেন্স শুধু অস্বস্তিই সৃষ্টি করেনা দেখতেও সমস্যা করে। লেন্স শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে স্ক্র্যাচ পড়তে পারে। যতবার প্রয়োজন চোখে ড্রপ দিন। যদি চোখ দিয়ে পানি পড়ে বা চোখ চুলকায় তাহলে অ্যান্টি হিস্টামিন জাতীয় ড্রপ ব্যবহার করুন।

৪। গোসল বা সাঁতারের আগে কন্টাক্ট লেন্স খুলে রাখুন। কন্টাক্ট লেন্স জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া শোষণ করে ইনফেকশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

৫। কর্নিয়াতে বাতাস প্রবেশের জন্য কিছু সময় লেন্স খুলে চশমা ব্যবহার করুন।

৬। চোখে লেন্স পরার পরে চোখের মেকআপ যেমন- আই লাইনার ও মাশকারা ব্যবহার করুন।

৭। যদি চোখ জ্বালা-পোড়া করে বা লাল হয়ে যায় তাহলে লেন্স খুলে রাখুন এবং ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।

৮। কখনোই চোখে লেন্স পরে ঘুমাতে যাওয়া উচিৎ নয়। লেন্স পরা অবস্থায় চোখের পাতা বন্ধ থাকায় কর্নিয়া অক্সিজেন সংকটে পড়ে। এ কারণে জীবাণুর মোকাবিলায় দুর্বল হয়ে পড়ে চোখ। ফলে কর্নিয়ার সংক্রমণ ২০ গুণ বেড়ে যেতে পারে।

৯। বছরে একবার চোখের ডাক্তারের কাছে যেয়ে চোখ পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। লেন্সের সময় সীমা শেষ হয়ে গেলে আর ব্যবহার করা উচিৎ নয়।

১০। লেন্স খুলে সলিউশনে ডুবিয়ে রাখুন। কখনোই লেন্সে সরাসরি পানি ও থুতু লাগানো ঠিক নয়।



মন্তব্য চালু নেই