জেনে নিন গর্ভাবস্তায় চোখের কিছু সমস্যার কথা

গর্ভকালীন অবস্থায় ওজন বৃদ্ধি, মর্নিং সিকনেস বা অবসাদের সঙ্গে আরো বহু পরিবর্তন আসে নারীর দেহে। এগুলোর মধ্যে সম্ভবত চোখ বা দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন অন্তঃসত্ত্বা নিজেও বুঝতে পারেন না। তাই গর্ভধারণের পর নারীর চোখ বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে নেওয়া উচিত। এখানে জেনে নিন, গর্ভধারণের পর নারীর চোখের কি কি সমস্যা হতে পারে।

১. ঝাপসা দৃষ্টি : এটা সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা হিসাবে দেখা দেয়। যদি আগে থেকেই চশমা বা কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করে থাকেন, তবে এ সময়ের ঝাপসা দৃষ্টির কারণে প্রেসক্রিপশন বদলে ফেলার প্রয়োজন নেই। নিউ ইয়র্কের কলোরাডো সেন্টার ফর রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ড. ব্রায়ান লিভাইন এ পরামর্শ দেন। তবে ঝাপসা দৃষ্টির সঙ্গে কোনো কিছু ভেসে বেড়াতে দেখলে তা প্রিক্লাম্পশিয়ার লক্ষণ। গর্ভবতীদের ৫-৮ শতাংশ এ সমস্যার শিকার হন। প্রিক্লাম্পশিয়া রেটিনায় কিছুটা পরিবর্তন আনে। এ ছাড়া রেটিনায় হেমারেজ, ডিটাচমেন্ট বা স্ট্রোকের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

২. কন্ট্যাক্ট লেন্সের সমস্যা : গর্ভধারণের পর নারীদের দেহে হরমোনঘটিত পরিবর্তন ঘটে। বিশেষ করে ইস্ট্রোজেন কর্নিয়ার বক্রতা ও ঘনত্ব কিছুটা বদলে দিতে পারে। এ সময় হঠাৎ করেই চশমার প্রয়োজন হতে পারে। দৃষ্টিশক্তি বদলে যাওয়ার কারণে ২৬ শতাংশ ব্রিটিশ নারীর নতুন চিকিৎসা নির্দেশনা প্রয়োজন হয়। আমেরিকান একাডেমি অব অপথালমোলজির বিশেষজ্ঞ অ্যানা সুমারস জানান, দেহের তরলের পরিবর্তনে রেটিনাতেও পরিবর্তন আসে।

৩. শুকনো চোখ ও ফোলাভাব : এ সময় চোখ দুটো শুকনো বলে অনুভূত হয়। অনেক ক্লান্তিবোধও আসে। এ সময় প্রিজারভেটিভমুক্ত কৃত্রিম অশ্রু ব্যবহার বেশ কাজে দেয়। এতে প্রাকৃতিক অশ্রু উৎপাদন ব্যাহত হয় না।

৪. মাইগ্রেন : গর্ভাবস্থায় মাইগ্রেন এবং মাথাব্যথা অতি সাধারণ বিষয়। এ সময় চোখে আলোর ঝলকানি সহ্য হয় না।

৫. প্রোলাইফরেটিভ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি : গর্ভজনিত কারণে ডায়াবেটিস দেখা দেয়। সাধারণত এদের চোখে কোনো সমস্যা দেখা দেয় না। তবে ডায়াবেটিস দেখা দিলেও অল্প সংখ্যক নারী চোখের সমস্যায় ভোগেন। এ সমস্যা সাধারণত আইরিশে নতুন রক্তবাহী শিরা গজায়। এতে স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ব্যাহত হয়। এমন সমস্যায় অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করা উচিত।



মন্তব্য চালু নেই