জেনে নিন ঘুমে সমস্যার ৮ লক্ষণ

১. ঠিকঠাকভাবে কাজ শেষ হয় না
ঘুমের সমস্যায় যাঁরা ভোগেন তাঁরা উৎপাদনশীলতায় অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে থাকেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ইনসমনিয়ায় আক্রান্তদের কর্মক্ষমতা ২৫ থেকে ৪৫ শতাংশ কমে যায়।

২. ছোটখাটো জটিলতায় অস্থিরতা
ঘুম কম হলে পরদিন এর প্রভাব পড়ে মন-মেজাজে। অবসাদ ভর করে দেহ-মনে। খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে অযথাই মনে অশান্তি দেখা দেয়। পরিবার, সহকর্মী ও পেশাজীবনে এ নিয়ে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

৩. অনলাইনে আসক্তি
ঘুম কম হলে নিজের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ কমে যায়। এ সময়ে মানুষ বেশি বেশি ইন্টারনেটে থাকতে চায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা রাতে ঘুমান না বা ঘুমাতে পারেন না তাঁরা ফেসবুকে বেশি সময় ব্যয় করেন। আবার অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতাও বেড়ে যায়।

৪. সুষ্ঠুভাবে চিন্তায় বাধা
মস্তিষ্কের চিন্তা করার ক্ষমতা ঘুম কম হওয়ার কারণে কমে যায়। কারণ নিউরনের কার্যক্রম, উদ্ভাবনী চিন্তা ও স্মৃতিশক্তির ক্ষমতা ৩৮ শতাংশ কমে আসে। এ ছাড়া এলোমেলো চিন্তা বেড়ে যায়।

৫. আবেগপ্রবণ
স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি হঠাৎ অস্বাস্থ্যকর খাবারে আকৃষ্ট হয়ে উঠতে পারেন। কারণটা ঘুমের অভাব। ক্ষুধা লাগলে খাবার পছন্দে নিয়ন্ত্রণ হারায় ঘুমহীন মস্তিষ্ক। এ অবস্থায় মানুষ উচ্চমাত্রার ফ্যাট ও চিনিপূর্ণ খাবারে আসক্ত হয়ে পড়ে।

৬. মানসিক চাপ বাড়ে
খুব কম বা বেশি ঘুমালে অবসাদ ভর করে। এ সময় মানসিক চাপ বেড়ে যায়। গোটা দিন সেই চাপ বয়ে বেড়াতে হয়। এতে মনোযোগ নষ্ট হয় এবং কাজে অনীহা চলে আসে। অপর‌্যাপ্ত ঘুম পেশা থেকে ধীরে ধীরে মানুষকে বিচ্ছিন্নও করে ফেলতে পারে।

৭. প্রাণশক্তি ক্ষয়
দুই-এক রাত না ঘুমালেই দেহের সব বল উধাও হয়ে গেছে বলে মনে হয়। একমাত্র রাতের ঘুম মানুষকে সুস্থ ও সবল রাখে। এমনকি রাতের ঘুম দিনে পুষিয়ে নিলেও উদীপ্ত ভাবটা থাকে না।

৮. বিষণ্নতা ও উদ্বেগ
ঘুমের ক্রনিক সমস্যায় মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি স্থায়ী আসন নিতে পারে বিষণ্নতা। নেতিবাচক অর্থে আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে মানুষ।



মন্তব্য চালু নেই