জেনে নিন সূর্যতাপ থেকে রক্ষা করে যেসব খাবার, আপনার ও খাওয়া উচিত

সূর্যতাপ সীমিত মাত্রায় আমাদের দেহে পড়লে তাতে ক্ষতি হয় না। তবে তা যদি বাড়তি মাত্রায় হয়ে যায় তাহলে ত্বক ও দেহের ক্ষতি হয়। অবশ্য কিছু সাধারণ খাবারও সূর্যের প্রখর তাপ থেকে রক্ষা পেতেও সহায়তা করে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু খাবারের কথা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।

লাল টমেটো
লাল টমেটোতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপেন। এটি প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের সমস্যা থেকে রক্ষা করে। এটি রক্তচাপের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি থেকে রক্ষা করে। এছাড়া প্রস্টেটিক হাইপারপ্ল্যাসিয়া প্রতিরোধেও এটি কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়া এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কম্পাউন্ডটি খাবারে থাকলে তা ত্বককে সূর্যতাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।

তরমুজ
তরমুজে রয়েছে লাইকোপেন। এটিও তরমুজের লাল বর্ণের জন্য দায়ী। এ উপাদানটি গ্রীষ্মকালে সূর্যতাপ থেকে রক্ষা করে। সূর্যতাপ যখন অত্যন্ত বেড়ে যায় এবং বাইরে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যায় তখন বেশি করে তরমুজ খেলে তা দেহকে শীতল করে।

গ্রিন টি
গ্রিন টি-র রয়েছে বহু স্বাস্থ্যগত সুবিধা। এটি হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে ও দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া এটি দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে এবং দেহের দূষিত পদার্থও বের করে। তবে এর আরেকটি উপকারের কথা অনেকেই জানেন না। গ্রিন টির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কম্পাউন্ড সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ও সূর্যতাপ থেকে দেহকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।

কোকোয়া
কোকোয়াকে অনেকেই সুপারফুড বলেন। এতে রয়েছে ৭১২টি কম্পাউন্ড, যার মধ্যে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ত্বকের জন্য উপকারি উপাদান। কোকোয়ার একটি উপাদানের নাম ফ্লেভানোল। এটি হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপের বিরুদ্ধেও এটি প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সেই একই উপাদান আপনার ত্বককে সূর্যতাপের হাত থেকে রক্ষা করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। কোকোয়ার উপকার পেতে হলে প্রতিদিই অল্প করে ডার্ক চকলেট কিংবা অর্গানিক ডার্ক চকলেট খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

রঙিন পিপার
লাল, হলুদ কিংবা কমলা রঙের পিপারের স্বাদ যেমন মজার তেমন অনেক উপকারও রয়েছে। এগুলোতে রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস। এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে ভিটামিন এতে পাল্টে যায়। এটি সূর্যতাপ থেকে ত্বক রক্ষা করতেও সহায়তা করে।

ব্লুবেরি ও পার্পল বেরি
ব্লুবেরি ও পার্পল বেরিতে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিনস। এটি প্রকৃতির অত্যন্ত কার্যকর প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ। এটি ক্রনিক ও ডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি কমাতে যেমন সহায়তা করে তেমন সূর্যের অতিরিক্ত তাপ থেকেও ত্বক রক্ষা করতে সহায়তা করে।

হলুদ
হলুদের রয়েছে কারকিউমিন নামে উপাদান। এটি অত্যন্ত কার্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান। এছাড়া হলুদের বিভিন্ন উপাদানের কারণে তা খাবারে সুন্দর রং ও স্বাদ আনে। হলুদের বিভিন্ন উপাদান আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এটি যেমন তাজা অবস্থায় খাওয়া যায় তেমন শুকিয়ে পাউডার হিসেবেও খাওয়া যায়। হলুদের গুড়া ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহৃত অন্যতম মসলা। এছাড়া ত্বকের যত্নে হলুদ অত্যন্ত কার্যকর। এটি ত্বককে সূর্যতাপের ক্ষতি এড়াতেও সহায়তা করে।

মাছ
মাছের বিভিন্ন উপাদান ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারি। বিভিন্ন ধরনের মাছে পাওয়া যায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ও ভিটামিন ডি। বিশেষ করে সমুদ্রের মাছের তেলে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এছাড়া প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেশিয়ামও পাওয়া যায় মাছে। ত্বকের জন্য প্রতিদিনই কিছু কিছু মাছ খাওয়া উচিত। মাছ পরিমাণমতো খাওয়া না হলে ওমেগা থ্রি সাপ্লিমেন্টও খাওয়া যেতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই