জেনে নিন হাঁচি আটকানোর বিপদজনক দিকগুলো

হাঁচি আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে একটি। যখন ব্যাকটেরিয়া বা অন্য ক্ষতিকর জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে তখন ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে এদেরকে শরীর থেকে বের করে দেয় হাঁচি। এভাবেই হাঁচি আমাদেরকে গুরুতর কোন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। তবে অনেকের আবার অ্যালার্জির কারণে অধিক পরিমানে হাঁচি হতে পারে। তার জন্য রয়েছে চিকিৎসা। তবে স্বাভাবিক হাঁচি নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করা বা এটা বন্ধ করার চেষ্টা করার অর্থ নিজের ক্ষতি ডেকে আনা। মানুষের সামনে হাঁচি দেওয়াটা অস্বস্তিকর। তাই অনেকে নাকে চাপ দিয়ে বা অন্য কোন উপায়ে হাঁচি দমনের চেষ্টা করেন। কিন্তু যদি হাঁচি আসা বন্ধ করা হয়, তাহলে তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এর ফলে শরীরের অন্য অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। যদি হাঁচি বন্ধ করা হয় তাহলে তা দিক পরিবর্তন করে কান, ব্রেইন, ঘাড়, ডায়াফ্রাম ইত্যাদি অঙ্গের ক্ষতি করে। আসুন হাঁচি বন্ধ করার বিপদজনক দিকগুলো জেনে নিই-

১। হাঁচির মাধ্যমে নাক দিয়ে ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বের হয়ে আসে। যদি হাঁচিকে বন্ধ করা হয় তাহলে চাপটা অন্য অঙ্গ যেমন- কানে গিয়ে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে।

২। হাঁচি বন্ধ করলে শ্রবন সমস্যার পাশাপাশি মাথা ঘোরার সমস্যা হয় যা খুব তাড়াতাড়ি যায় না।

৩। হাঁচি বন্ধ করলে চোখের কৈশিক নালী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই প্রকার চাপের ফলে কৈশিক নালী ছিড়েও যেতে পারে।

৪। হাঁচি বন্ধ করলে যে চাপের সৃষ্টি হয় তাঁর জন্য ডায়াফ্রাম ড্যামেজ হতে পারে।

৫। হাঁচির আচমকা দমকা বাতাস বন্ধ করলে ঘাড়ের আঘাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যাদের সাইনাসের অপারেশন হয়েছে তাঁরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়েন।

৬। হাঁচির ফলে শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে যায়। যদি হাঁচি বন্ধ করা হয় তাহলে এই পরজীবীগুলো শরীরেই থেকে যায় এবং রোগ সৃষ্টি করে।

৭। হাঁচি বন্ধ করলে মস্তিষ্কের শিরা ছিঁড়ে স্ট্রোক হতে পারে। যদি জনসম্মুখে হাঁচি আসে তাহলে লজ্জা পাবেন না, কারণ এর ফলে আপনাকে যে মূল্য দিতে হবে তা অপূরণীয়। একটি রুমাল হাতে রাখুন এবং হাঁচি দিন। যদি রুমাল বাহির করতে নাও পারেন তাহলে আপনার বাম হাতের তালু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে হাঁচি দিন।



মন্তব্য চালু নেই