জেলা পরিষদে ভোট শেষ, ফলের অপেক্ষা

তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১ জেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ হয়। খানিক বিরতি দিয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট গণনার কাজ শুরু হয়েছে। বিকেলে থেকেই ফল পাওয়ার আশা করছেন প্রার্থীরা।

এদিকে আদালতের নির্দেশে নোয়াখালীতে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সব ধরনের পদে এবং ২, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্যপদে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া যশোরে ৩ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্যপদে এবং সংরক্ষিত ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ স্থগিত আছে। আর মাগুরায় ১১ নম্বর ওয়ার্ডে সব ধরনের পদে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বগুড়ায় চেয়ারম্যান পদে ও গাইবান্ধায় ৮ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্যপদে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

দেশে এই প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।

২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ৬১ জেলায় প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। তাঁদের মেয়াদপূর্তিতে এবারই প্রথম জেলা পরিষদে নির্বাচন হচ্ছে। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন ভোটের মাধ্যমে। জেলায় অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশন (যদি থাকে), উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

এদিকে, এরই মধ্যে ২২টি জেলায় একক প্রার্থী থাকায় চেয়ারম্যান পদে ২২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এখন চেয়ারম্যান পদে ৪১ জেলায় ভোট হয়। সাধারণ সদস্যপদে দুই হাজার ৯৮৫ জন ও সংরক্ষিত সদস্যপদে ৮০৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। সাধারণ সদস্যপদে ১৩৯ জন ও সংরক্ষিত সদস্যপদে ৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এ হিসাবে স্থানীয় সরকারের চারটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬৭ হাজার নির্বাচিত প্রতিনিধি এ নির্বাচনে ভোট দেবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদে। দেশের প্রায় চার হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদে গড়ে ১৩ জন করে প্রায় ৬০ হাজারের মতো নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন।

একইভাবে ৪৮৮টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন প্রায় দেড় হাজার।

৩২০টি পৌরসভায় নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন সাড়ে পাঁচ হাজার এবং ১১টি সিটি করপোরেশনে প্রায় ৫৫০ নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন, যাঁরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই