‘জেলেরাই সুন্দরবনে আগুন লাগিয়েছিল’

বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরার এলাকা নির্বিঘ্ন করতে স্থানীয় দুষ্কৃতকারী বা জেলেরাই সুন্দরবনে আগুন লাগিয়েছিল। তদন্তে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

বৃহস্পতিবার সকালে দশম জাতীয় সংসদের একাদশতম অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত এস এম মোস্তফা রশিদীর (খুলনা-৪) প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

মোস্তফা রশিদী মন্ত্রীর কাছে সম্প্রতি সুন্দরবনে বার বার অগ্নিকাণ্ড হওয়ার কারণ উৎঘাটন সম্ভব হয়েছে কি না, জানতে চান। সাংসদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, হয়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরার এলাকা নির্বিঘ্ন করার জন্য স্থানীয় জেলে বা দুষ্কৃতকারীরা আগুন লাগিয়েছিল বলে তদন্তে পাওয়া গিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনে যারা আগুন লাগানোর জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দুজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে। এ ছাড়া কর্তব্যে অবহেলার জন্য চারজন বনকর্মীকে সাময়িক চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’

এ কে এম মাঈদুল ইসলামের অপর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং সুন্দরবনের ওপর স্থানীয় মানুষের নির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে।

তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অবস্থান প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ সুন্দরবনের নিকটস্থ এলাকায় হওয়ায় এই প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা ইনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট-(ইআইএ) প্রতিবেদন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুপ্ত প্রদান করা হয়েছে।’

মন্ত্রী জানান, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজির হবে এবং এই প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড অপারেশন ফেসে সুন্দরবনের ওপর যেন কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সেজন্য আলোচ্য প্রকল্পের ৫৯টি শর্ত আরোপ করে ইআইএ প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।

সুতরাং ইআইএ প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত মিটিগেশন মেজার্স যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।



মন্তব্য চালু নেই