জেল-পালানো আট বন্দি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

ভারতে কারারক্ষীর গলা কেটে কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ সংগঠন স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়ার (সিমি) আট সদস্য নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে ভূপালের অদূরে ইথখেদি গ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তাঁরা নিহত হন।

তবে ভূপালের পুলিশ মহাপরিদর্শক যোগেশ চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

এর আগে গতকাল রোববার মধ্যরাতে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ভূপালের উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন কারাগার থেকে পাঁচিল টপকে পালিয়ে যান এই আটজন। এ সময় তাঁরা স্টিলের প্লেট ও গ্লাস দিয়ে কারারক্ষীর গলা কেটে হত্যা করে এবং বিছানার চাদর দিয়ে দড়ি পাকিয়ে জেলের পাঁচিল টপকে পালিয়ে যায়।

মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ওই আট সিমি সদস্যের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা রয়েছে। নিহত আটজনের মধ্যে সাতজন হলেন মোহাম্মদ আকিল খালিজি ওরফে আবদুল্লাহ, মেহবুব গুড্ডু ওরফে মালিক, মোহাম্মদ খালিদ আহমেদ, মুজিব শেখ ওরফে আকরাম ওরফে ওয়াসিম, আমজাদ, জাকির হোসেন শেখ ওরফে ভিকি ডন ও আবদুল মজিদ।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জেল থেকে পালানোর জন্য বন্দিরা দীপাবলির দিনটি বেছে নিয়েছিলেন। কারণ, এদিন চারদিকে বাজি-পটকার আওয়াজ হয়। ফলে তাঁদের অপারেশনের আওয়াজ সেভাবে কারো কানে পৌঁছাবে না।

মধ্যপ্রদেশের জেল থেকে পালানোর ঘটনা এটাই নতুন নয়। ২০১৩ সালে খান্দোয়া জেল থেকে পালিয়ে যান সাত সিমি সদস্য। সেবার জেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুজনকে মারধর করে জেলের বাথরুমের গরাদ কেটে পালিয়ে যান তাঁরা। এমনকি সেবার পালানোর আগে জঙ্গিরা জেলের নিরাপত্তারক্ষীদের ওয়্যারলেস সেট ও রাইফেল চুরি করে নিয়ে যান।



মন্তব্য চালু নেই