জোড়া লাগানো অপূর্ণাঙ্গ যমজ থেকে আলীকে আলাদা করতে সফল অস্ত্রোপচার

পৃথিবীতে এসে কি বিপদেই না পড়েছে শিশু মোহাম্মদ আলী। তার গায়ে সেঁটে আছে অপূর্ণাঙ্গ আরেকটি শিশু। গরিব বাবা মায়ের সাধ্য ছিল না চিকিৎসা করার। অবশেষে এগিয়ে আসলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। জোড়া লাগানো অপূর্ণাঙ্গ যমজ থেকে মোহাম্মদ আলীকে আলাদা করতে সফল অস্ত্রোপচার করেছেন তারা। আর পুরো ঘটনাটিই একটি প্রজেক্টরের মাধ্যমে সরাসরি দেখানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ১৮ জন চিকিৎসকের একটি দল সকাল সাড়ে নয়টায় এই অস্ত্রোপচার শুরু করে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।

গত ৭ মার্চ যশোরের চৌগাছা হাসপাতালে জমজ শিশুটির জন্ম হয়। বাবা মা পূর্ণাঙ্গ শিশুটির নাম রাখেন মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে জোড়া লাগানো আছে একটি অপূর্ণাঙ্গ শিশু। তার মাথা, বুক ও দুই হাত নেই। শিশুটির চিকিৎসা নিয়ে দরিদ্র বাবা জাকারিয়া ও মা হীরামনির অসহায়ত্বের খবর প্রকাশ হলে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

অধ্যাপক রুহুল আমিন বলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এ ধরনের শিশুকে ‘কনজেনিটাল প্যারাসাইটিক টুইন’ বা জোড়া অপূর্ণাঙ্গ যমজ বলা হয়। অস্ত্রোপচারের পর মোহাম্মদ আলী সাধারণ শিশুর মতোই বেড়ে উঠচে বলে আশা করছেন তিনি।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই অস্ত্রোপচারের পর অপূর্ণাঙ্গ শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন না তারা। বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানানো হয়েছে। তারাও এটি মেনে নিয়েছেন।

অস্ত্রোপচার চলাকালে মোহাম্মদ আলীর বাবা-মা ও স্বজনরা অধীর আগ্রহ নিয়ে কক্ষের বাইরে অপেক্ষা করেন। মেডিকেল শিক্ষার্থী ও আগ্রহীরাও ভিড় করেন পুরো দৃশ্যটি দেখতে।



মন্তব্য চালু নেই