জয়বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু না বললে দেশে থাকা যাবে না

‘একবার হলেও জয়বাংলা-জয়বঙ্গবন্ধু বলতে হবে, তা না হলে এদেশে থাকতে পারবে না বিরোধী দল (বিএনপি)।’ এমন মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগ আয়োজিত ‘স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মানকিন বলেন, ‘লা ইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রাসূল উল্লাহ বলার কারণে মৃত্যুর পরও এক ব্যক্তির মুখ পচেনি। তাই বিরোধী দলকে বলবো একবার হলেও বঙ্গবন্ধু বলুক, জয়বাংলা বলুক- না হলে দেশে থাকতে পারবে না। তাদের বাংলাদেশ ছাড়তে হবে। এদেশ জয়বাংলা থাকবে, জিন্দাবাদ একদিন থাকবে না।’

বঙ্গবন্ধুকে মূল বৃক্ষ বলে অভিহিত করে তিনি আরো বলেন, ‘যারা জয়বাংলা বলতে পারে না, এখনও জিন্দাবাদের মধ্যে আছেন তাদের জন্য এটা দুর্ভাগ্য। অন্তত একবার জয় বাংলা বলুন। আজকে যারা জয়বাংলা বলে না তারা একদিন বাধ্য হবে। বলতে তাদের বাধ্য হতে হবে। তা না হলে এদেশ থাকতে পারবে না।’

মানকিন বলেন, ‘আজকে যদি ধর্মের ভিত্তিতে দেশ চলতো তবে আমি মন্ত্রী হতে পারতাম না। এখানে আসতে পারতাম না। আপনারাও এখানে আসতে পারতেন না।’

তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন আর তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশ গড়ছেন। যে কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বীকার করেছেন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে বলেন, ‘একজন মেজর রেডিওতে ঘোষণা দিয়েছেন। আর তাতে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে। এটা জাতি স্বীকার করে না, ভবিষ্যতেও করবে না। ১৯৬১ সালে জিয়াউর রহমানের কেউ নাম জানতো না। তখন তিনি ছিলেন নাবালক।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় নতুন প্রজন্মকে ভুল ইতিহাস শেখানো হয়েছে। তাদের কাছে বাহাত্তরের সংবিধানের মূল চেতনা পৌঁছে দিতে হবে।’

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল কাব্যিক ভাষণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে তিনি ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার দিক নির্দেশনা স্পষ্ট করেছিলেন। তার প্রজ্ঞা ছিল বিশ্বের শ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদদের কাতারে।’

সংগঠনের সভাপতি মো. কায়সার-ই আলম প্রধানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো সুজাউল করিম চৌধুরী বাবুল প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই