ঝিনাইগাতীতে অবৈধ করাত কল মালিক মুক্তারের খুটির জোর কোথায়?

মুহাম্মদ আবু হেলাল, ঝিনাইগাতী (শেরপুর): শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বাগেরভিটা গ্রামের কান্দুলী মৌজার ৮৫নং দাগে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে স্থাপিত করাত কল মালিক মুক্তার হোসেনের খুটির জোর কোথায় ? এলাকাবাসী, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে তা জানতে চায়। সরেজমিনে পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বাগেরভিটা গ্রামের ইস্রাফিল হোসেনের ছেলে বিদেশ ফেরত মুক্তার হোসেন শ্রীবর্দী উপজেলায় করাত কল স্থাপনের অনুমোদনকৃত কাগজপত্র সমেত করাত কলটি শ্রীবর্দী উপজেলায় স্থাপন না করে বিধি বহির্ভূত ভাবে বন আইনের প্রতি সম্পূর্ণ বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে ক্ষমতা ও টাকার জোরে ঝিনাইগাতী উপজেলার বাগেরভিটা গ্রামের কান্দুলী মৌজার ৮৫নং দাগে স্থাপন করে। কলটি স্থাপনের সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম রেজা ও রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা কবির হোাসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মুক্তার হোসেনের অবৈধ করাত কলটি বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করলে সাময়িক ভাবে মুক্তার হোসেন কয়েক দিন তার মিলটি বন্ধ রাখে। এদিকে রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা কবির হোাসেন, সহকারী বন সংরক্ষক, শেরপুর এর পত্র নং ঃ২২.০১.০০০০.৬৩৪.১৭.২০১৬.৩৩ তারিখ ৩.৩.২০১৬ইং স্মারক মূলে এবং ২০.৩.১৬তারিখের স্বাক্ষরিত পত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বাগেরভিটা গ্রামের কান্দুলী মৌজার ৪টি করাত মিলের বর্তমান অবস্থানের প্রতিবেদন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করেন। উক্ত প্রতিবেদনে লাইসেন্স সহ অন্যান্য কাগজ পত্রাদি ঠিক থাকলেও ৩টি মিল ১০কিঃমিটারের মধ্যে দুরত্ব পাওয়া যায় ৫কিঃমিঃ এবং মৌজা সঠিক হলেও দাগ নাম্বার ভিন্ন। কিন্তু মুক্তার হোসেনের স্থাপনকৃত করাত কলটির লাইসেন্স/দুরত্ব/ মৌজার কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারলেও বহাল তবিয়তে বসে দাপিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তার এ অবৈধ ব্যবসা। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ওই অবৈধ মিলের ছবি তুলতে গেলে মুক্তার হোসেন সাংবাদিকদের দম্ভোক্তি করে বলেন, “আমার মিল অবৈধ নয়,আমি সবদিক ম্যানেজ করেই ব্যবসা চালাচ্ছি, আপনাদের দু,একটি ছবি তুলে আর কাগজে ছাপলেই আমার মিল বন্ধ হবেনা, শুধু মিলের ছবি নিয়ে কি হবে, আমার ছবিও তুলুন” তার এমন দম্ভোক্তিতে হতবাক না হয়ে পারিনা। এ ব্যাপারে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, সহকারী বন-সংরক্ষক, শেরপুর ও রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা কবির হোাসেনের সাথে কথা হলে তারা এ প্রতিনিধিকে জানান, “মুক্তার হোসেনের অবৈধ করাত মিলটি উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উদ্দোগ গ্রহন করা হয়েছে, যে কোন মূহুর্তে মিলটিকে উচ্ছেদ করা হবে”। অন্যদিকে বহাল তবিয়তে অবস্থান করে মুক্তার হোসেন তার অবৈধ করাত মিলটি দেড়াচ্ছে চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে স্বভাবতই জনমনে প্রশ্ন জাগে, অবৈধ করাত কলের মালিক মুক্তার হোসেনের ক্ষমতার উৎস বা খুটির জোর কোথায় ? সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বিষয়টির প্রতি নজর দিবেন কি?



মন্তব্য চালু নেই