ঝিনাইগাতীর প্রতিবন্ধী মাসুমের ভাগ্য জুটেনী প্রতিবন্ধি কার্ড

মানুষ মানুষের জন্যে এই প্রবাদটির সত্যতা আজোও মেলেনি প্রতিবন্ধী মাসুমের ভাগ্যে। মাসুম (১৬) শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের দিনমজুর মৃত আশরাফ আলীর ছেলে। গত ৬ বছর পূর্বে মাসুমের মা আফুজা বেগমের মৃত্যু হয়। ৪ বছর পূর্বে মারা যায় তার বাবা। ২ ভাই ৩ বোনের মধ্যে মাসুম সবার ছোট।

বড়ভাই বিয়েসাধি করে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। ৩ বোন বিয়ের পর স্বামীর সংসার করছে। সহায়-সম্বল ও পিতা-মাতাহীন মাসুম অন্যের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে কোন রকমে জীনব চালাচ্ছে। মাসুমের মাথাগুজার ঠাঁইটুকু পর্যন্ত নেই। মাসুমের পড়ালেখার প্রতিও রয়েছে যথেষ্ট আগ্রহ।

বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পিদিম ফাউন্ডেশনের পরিচালিত একটি প্রতিবন্ধী ইসকুলে লেখাপড়া করত। কিন্তু ওই সংস্থার প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়।

পেটের জ্বালা মেটাতে অন্যের দ্বারে দ্বারে ঘুরে যা পায় তাই দিয়ে খেয়ে-না খেয়ে চলে তার জীবন। মাসুম জানায়, একটি প্রতিবন্ধী ভাতা’র কার্ড পাবার জন্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সমাজসেবা অধিদপ্তরে বহুবার আবেদন-নিবেদন করেও কোন কাজ হয়নি।

বর্তমানে সে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সচেতন মহলের প্রশ্ন মাসুমের ভাগ্যে আদৌ কি জুটবে প্রতিবন্ধী ভাতা’র কার্ড? এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ আলী আকবর ভূইয়ার সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।



মন্তব্য চালু নেই