ঝিনাইদহে পুরোহিত হত্যা: ঘটনাস্থলে ভারতীয় হাইকমিশন কর্মকর্তারা

ঝিনাইদহে পুরোহিত হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনের ‍দুই কর্মকর্তা। বুধবার সকালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।সেখানে গিয়ে তার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।কীভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার জানার চেষ্টা করেন।

দেশে নিশানা করে (টার্গেট কিলিং) হত্যাকাণ্ড থামছে না। চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে ও নাটোরের বড়াইগ্রামে খ্রিষ্টান মুদিদোকানিকে হত্যার ৪৮ ঘণ্টার মাথায় গতকাল মঙ্গলবার ঝিনাইদহে হত্যা করা হলো এক হিন্দু পুরোহিতকে। ৭০ বছর বয়সী এই পুরোহিতের নাম আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী। আগের ঘটনাগুলোর মতো এ ঘটনাটিও ঘটেছে প্রকাশ্য দিবালোকে।

এদিকে পুরোহিত আনন্দ গোপালকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। গত রবিবার নাটোরে খ্রিষ্টান মুদিদোকানি সুনীল গোমেজকে (৬০) হত্যারও দায় স্বীকার করে আইএস।

এলাকাবাসীরা জানান, আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় পুরোহিত ছিলেন। এলাকার হিন্দু বিবাহসহ সব পূজার অনুষ্ঠান তিনিই করতেন। এলাকার একজন ভালো মানুষ হিসেবেই সবাই তাঁকে জানত। তাঁর সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা ছিল না মন্তব্য করে গোটা এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে বলেও তিনি জানান। এমন নিরীহ লোককে কারা ও কেন হত্যা করল প্রশ্ন করে তিনি খুনি গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানান।

নিহতের ছেলে সিন্ধু গোপাল গাঙ্গুলী জানান, আমার বাবার সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা ছিল না। আমার বাবা এলাকার পুরোহিত হিসেবে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক পরিচিত ছিলেন। সবাই তাঁকে খুব ভালোবাসত, শ্রদ্ধাভক্তি করত। এলাকার হিন্দু-মুসলমান সবার কাছে ভালো মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। কেউ কোনো দিন আমার বাবাকে হুমকি দিয়েছে বা তাঁর সঙ্গে কারো বিরোধ আছে এমন কথা কখনো শুনিনি। এলাকার কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার বাবা খুন হতে পারেন না। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

নিহতের ভাতিজা অশোক কুমার রায় বলেন, এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকা-। জঙ্গিরা পরিকল্পিতভাবে আমার কাকাকে হত্যা করেছে। আমার কাকার সঙ্গে এলাকার কারো কোনো দ্বন্দ্ব বা শত্রুতা ছিল না।



মন্তব্য চালু নেই