টঙ্গীতে বয়লার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫

টঙ্গীর বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় টাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে। রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিপন দাস (৩২) নামে এক শ্রমিক।

এর আগে শনিবার রাতে গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আলী হায়দার খান ২৪ জনের মৃত্যুর কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।

নিহত অন্যরা হলেন- ঢাকার নবাবগঞ্জের গোপাল দাস (২৫), একই এলাকার ক্লিনার শংকর সরকার (৩৫), পিরোজপুরের আল মামুন (৪০), চাঁদপুরের মতলবের নিরাপত্তাকর্মী আবদুল হান্নান (৫০), কুড়িগ্রামের ইদ্রিস আলী (৪০), ভোলার দৌলতখান এলাকার নিরাপত্তাকর্মী জাহাঙ্গীর আলম (৬৫), টাঙ্গাইলের গোপালপুর এলাকার সুভাষ চন্দ্র (৩০)।

ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকার রফিকুল ইসলাম (৪০), একই জেলার ঈশ্বরগঞ্জ এলাকার রিকশাচালক আবদুর রাশেদ (২৫), কারখানার শ্রমিক সিলেটের গোপালপুর এলাকার ওয়ালি হোসাইন (৪০), একই এলাকার মো. সোলায়মান (৩০), সাইদুর রহমান (৫১), মাইন উদ্দিন (২৯) ও এনামুল হক (৩৫), ত্রিশালের প্রকৌশলী আনিসুর রহমান (৪৫), পথচারী হবিগঞ্জের রোজিনা আক্তার (২০) ও তার ছোট বোন তাহমিনা আক্তার (১৮) ও শিশু মো. আশিক (১২)।

এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন (৩৫), ওয়াহিদুজ্জামান (৪০) ও আনোয়ার হোসেনের (৩৫) নাম জানা গেছে। নিহত এক নারীসহ অন্যদের নাম জানা যায়নি।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে আসমা নামে এক তরুণীর কথা জানা যায়, যিনি দুর্ঘটনার সময় ওই রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে কারখানা শ্রমিক, পথচারী, অটোরিকশা চালক, নারী ও শিশু রয়েছেন।

নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সেখানে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের স্বজনদের কাছে রোববার হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে শনিবার ভোরে গাজীপুরের টঙ্গীর টাম্পাকো প্যাকেজিং কারখানায় বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। পরে পাঁচতলা ভবনটি আংশিক ধসে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন।



মন্তব্য চালু নেই