‘টম অ্যান্ড জেরি’র জন্য মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ! এ-ও কি সম্ভব?

১৯৪০ সালে নিছক হাস্যরসের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল শর্টফিল্মে দুই কার্টুন চরিত্র ‘টম অ্যান্ড জেরি’। যাদের জন্মদাতা ছিলেন দুই কিংবদন্তী মানুষ উইলিয়াম হার্না ও জোসেফ বারবেরা। এরপর থেকে দশকের পর দশক বিশ্বজুড়ে ঐতিহাসিক চরিত্রে পরিণত হয়েছে ‘টম অ্যান্ড জেরি’। যাদের ঘিরে আজও এক হয়ে যায় আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। কিন্তু, সেই ‘টম অ্যান্ড জেরি’-র বিরুদ্ধেই উঠেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ!

এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন মিশর সরকারের এক আধিকারিকের। কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মিডিয়া ও কালচারাল ভায়োলেন্স’ নামে এক সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন অভিযোগ আনলেন যে লোকে শুনে থ’ হয়ে যাবেন।

সালাহ আবদেল সাদিক নামে ওই ব্যক্তির অভিযোগ, মধ্যপ্রাচ্যে যাবতীয় অশান্তির জন্য দায়ী ছোটদের জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র ‘টম অ্যান্ড জেরি’। সাদিক মিশর সরকারের স্টেট ইনফরমেশন সার্ভিসের একজন দূত। সাদিকের অভিযোগ, ‘টম অ্যান্ড জেরি’ যেভাবে মারদাঙ্গা করে তাতে মনে হয় এটা খুব সহজ এবং স্বাভাবিক ব্যাপার।

তার আরও অভিযোগ, কার্টুন শো-এর মধ্যে ‘টম অ্যান্ড জেরি’ যেভাবে সিগারেট খায়, নেশার পানীয় পান করে, একে অপরের উপর বদলা নিতে যেরকম আত্মঘাতী সব পরিকল্পনা আঁটে, যেমন বিস্ফোরণের ছক বা ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাতের দৃশ্য। এসব সমাজের উপর নেতিবাচক মনোভাবকে তুলে ধরে। এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরে শিশুদের উপর।

‘টম অ্যান্ড জেরি’-কে নিয়ে তৈরি ভিডিও গেমসগুলোকেও তোপ দাগতে ছাড়েননি সাদিক। তার অভিযোগ, ওইসব ভিডিও গেমস নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করছে শিশু ও কিশোররা। আর সারাক্ষণ ‘টম অ্যান্ড জেরির’ হিংসার কর্মকাণ্ড দেখে প্রভাবিত হচ্ছে কচি-কাচাদের দল।

এমনকী, আমেরিকা ও ব্রাজিলে ‘টম অ্যান্ড জেরির’র কোন পর্বকে কেন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তাও টেনে এনেছেন সাদিক। তার মতে, ‘টম অ্যান্ড জেরি’-র মতো কার্টুন ক্যারেক্টারের মাধ্যেম বিশ্বে হিংসা এক্সপোর্ট করার চেষ্টা চলছে। আর এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। তবে, ‘টম অ্যান্ড জেরির’ নির্মাতা সংস্থার কাছ থেকে সাদিকের এই মন্তব্য নিয়ে এখনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই