টাঙ্গাইলের পুজা মন্ডপ গুলোতে চলছে শেষ মুর্হূতের প্রস্ততি

স্টাফ রিপোর্টার :
আর মাত্র কয়েক দিন পরই হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান র্ধমীয় উৎসব শারদীয় র্দূগা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের পুজা মন্ডপগুলোতে চলছে শেষ মুর্হূতের প্রস্ততি। প্রতিমা নির্মাণ ও মন্দির সাজসজ্জায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগররা।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, জেলার এবার ১১শতাধিক পুজা মন্ডপে শারদীয় র্দূগাৎসব পালিত হবে। ইতোমধ্যে পূজা উদযাপন করতে পরিচালনা কমিটি, পূজাঙ্গন প্রস্তুতি ও নিরাপত্তার নানা প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে। আগামী ১৯ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর ৫ দিনব্যাপী এ উৎসব চলবে। ২২ অক্টোবর বিজয়া দশমী হলেও প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে পরের দিন।
উৎসবের প্রথম দিন দেবির আগমন বোধন ষষ্ঠী পূজা, দ্বিতীয় দিন মহাসপ্তমী, তৃতীয় দিন মহাঅষ্টমী, চর্তুথ দিন মহানবমী বিজয়া দশমী পুজা উদযাপিত হবে। পরের দিন বিকেলে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে উৎসব শেষ হবে।
জেলার পাথরাইল, চন্ডি, প্যারাডাইস পাড়া, কলেজ পাড়া, আদালত পাড়া, বড় কালিবাড়ী, থানাপাড়া এলাকার পুজা মন্ডপের জন্য প্রতিমা নির্মাণ, সাজ-সজ্জার কাজ এখন প্রায় শেষ র্পযায়ে। এসব মন্দির ছাড়াও সবকটি পুজা মন্ডপে পুষ্পমাল্য ও বিল্লপত্রের মাধ্যমে পুষ্পাঞ্জলী, ধূপ ও কুশীর মাধ্যমে প্রতিমা আরতি, অষ্টমী ও নবমীতে অন্ন প্রসাদ ও পুরোহিত দ্বারা চারুপাঠসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুজা উদযাপিত হবে।
বিগত প্রায় একমাস ধরে শিল্পীরা নান্দনিক ছোঁয়ায় প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। বিভিন্ন জেলা ছাড়াও ভারতের আসাম ও শিলিগুড়ি থেকে আসা প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা শেষ সময়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। পুজা মন্ডপে প্রতিমা নির্মাণে প্রকারভেদে ১৫ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা শিল্পীদের দিতে হয়।
শারদীয় র্দূগাৎসব উপলক্ষে প্রতিটি পুজা মন্ডপ গুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে,পুজা উপলক্ষে মন্ডপসহ সারা জেলা নিরাপত্তার চাদরে ঠেকে দেয়া হবে। পুলিশের পাশাপাশী র‌্যাব,আনসার ও স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে।
পূজা উপলক্ষে মার্কেটগুলোতে ক্রেতারা নিজেদের পছন্দের কেনাকাটা করছে।



মন্তব্য চালু নেই