টিআইবির বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিৎ : বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘টিআইবি তৈরী পোশাক খাতের ক্ষতি করতে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করেছে। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তৈরী পোশাক শিল্প যখন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই তারা এই অপপ্রচার শুরু করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিৎ।’

শনিবার ঢাকার বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাক্সেসারিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যান্যুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে চার দিনব্যাপী গ্যাপেক্সপো-২০১৬ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাত ইমেজ সংকটে পড়েছিল। বর্তমান সরকার এবং তৈরী পোশাক শিল্পর মালিকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সে সংকট কাটিয়ে উঠেছে। ক্রেতাদের সংগঠন অ্যাকোর্ড এবং অ্যালায়েন্স নিয়মিতভাবে কারখানাগুলো পরিদর্শ করে সন্তোষ প্রকাশ করছে। বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা কারখানাগুলো পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট। যে সময় ক্রেতাগোষ্ঠি বাংলাদেশের প্রতি আস্তা ফিরে পেয়েছে, ঠিক সে সময় টিআইবি বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বাংলাদেশের কোনো উন্নয়ন টিআইবি ভালো চোখে দেখে না।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘সরকার বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে তৈরী পোশাক থেকে আসবে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পরিকল্পিতভাবে এ সেক্টরের ক্ষতি করতে টিআইবি এ ধরনের অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক কারখানাগুলো এখন কম্পøায়েন্স। এ খাতের ৮০ ভাগ শ্রমিক নারী। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিশু পরিচর্যাসহ কর্মবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাক্সেসারিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং সেক্টর দ্রুত এগিয়ে যােেচ্ছ। একসময় এ সকল অ্যাক্সেসরিজ বিদেশ থেকে আমদানি করে তৈরী পোশাক কারখানার চাহিদা পূরণ করা হতো। এখন এটি সম্ভাবনাময় শিল্প। এখন অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে তা বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। তৈরী পোশাক খাতের ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে এ খাতের অবদান থাকবে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমান সরকার রপ্তানি খাতকে উৎসাহিত করতে নতুন পণ্যে রপ্তানিতে নগদ অর্থসহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এ খাতে নগদ অর্থসহায়তা প্রদানের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নগদ অর্থসহায়তা প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাক্সেসারিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যান্যুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম, এফবিসিসিআইর সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ, বিজিএমইর প্রাক্তন সভাপতি আনোয়ারুল ইালম চৌধুরী পারভেজ এবং অনুষ্ঠানের কোঅর্গানাইজার নন্দ গোপাল।



মন্তব্য চালু নেই