টিপ পরার পাঁচ ব্যাখ্যা

এ উপমহাদেশের নারীদের মধ্যে টিপ পরার একটি সাধারণ চল রয়েছে৷ ট্র্যাডিশনাল ড্রেসের সঙ্গে টিপ না পরলে যেন সাজ ঠিক সম্পূর্ণ হয় না৷ শুধু তাই নয়৷ শিশুদের কপালেও টিপ পরান ময়োরা৷ সেই টিপ নজরের হাত থেকে শিশুকে বাঁচায় কি না তা বিতর্কিত৷ তবে টিপের মাহাত্ম্য রয়েছে শারীরিক সুস্থতার ক্ষেত্রে৷ শুনতে অবাক লাগলেও একথা সত্যি যে টিপের উপরে আপনার মস্তিষ্ক চোখ এবং কানের অনেক উপকারিতা নির্ভর করে৷ জেনে নিন টিপ আপনার শরীরকে কি কি ক্ষেত্রে সুস্থ রাখতে পারে৷

১. আমাদের দু’টি ভ্রুয়ের মাঝখানে টিপ পরার প্রচলন রয়েছে৷ তার একটি প্রধান কারণ হল মস্তিষ্কের এই জায়গাই সব গুরুত্বপূর্ন নার্ভগুলির সংযোগস্থল৷ এই জায়গাটি ত্রিনেত্রের স্থান৷ তাই এই জায়গায় টিপ পরলে তা আমাদের শান্ত ও জাগ্রত রাখতে সাহায্য করে৷ শুধু তাই নয় এটি মেডিটেশনেও সহায়তা করে৷

২. মস্তিস্কের এই একটি পয়েন্টে আঙুলের চাপ মাথা ব্যাথা কমাতে পারে৷ শরীরের এই অংশে শিরা উপশিরা গুলি এক কেন্দ্রমুখী৷ ফলে এই জায়গাটিতে চাপ দিলে শিরা উপশিরাগুলি শিথিল হয়৷ ব্যাথা কমে৷তাই এই পয়েন্টে টিপ পরলে মাথার আরাম হয়।

৩. আমাদের মুখে যে সব শিরা উপশিরা ছড়ানো রয়েছে তার কেন্দ্রস্থল হচ্ছে কপালের এই অংশটি৷ ফলে এই স্থানে অল্প চাপ পড়লে আমাদের নাক, মাথা, ও মুখের রক্তসঞ্চালন বাড়ায়৷ এর ফলে নাক বন্ধ থাকলে এই পয়েন্টে চাপ দিলে নাক খুলে যায়৷ সাইনাসের ব্যাথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়৷ মুখে রক্ত সঞ্চালন বাড়ার ফলে মুখ উজ্জ্বল হয় এবং তা বহুদিন পর্যন্ত মুখে বলিরেখা ফুটতে দেয় না৷

৪. চোখের শিরার ফাইবার বহনকারী শিরাগুলির কেন্দ্রস্থল আমাদের কপালে৷ আমাদের চোখের চারপাশে যত পেশি রয়েছে সেগুলি এই শিরার সঙ্গে যুক্ত৷ ফলে এই স্থানে চাপ বা মেসেজ করলে তা আমাদের চোখের পক্ষে উপকারী৷ দূরের এবং কাছের জিনিসকে স্পষ্ট করে দেখতে চোখের যে পেশি ব্যবহৃত হয় তাকে শক্তিশালী রাখতে পারে এই জায়গার মেসেজও৷

৫. ঘুম বাড়াতে সাহায্য করে টিপ৷ মনকে শুধু শান্ত করা নয় এই স্থানে টিপ পরতে যে চাপ বা মেসেজ পরে তাতে মুখের শিরা উপশিরা ও পেশি শিথিল হয়৷ ফলে এটি মানষিক চাপ কমাতে পারে আপনার৷ প্রতিদিন কয়েক সেকেন্ডের জন্য এই স্থানে আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে ইনসোমনিয়া থেকে মুক্তি মিলতে পারে৷



মন্তব্য চালু নেই