টি-টোয়েন্টি সিরিজও হারলো বাংলাদেশ

ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও খোয়ালো বাংলাদেশ। শুক্রবার মাউন্ট মঙ্গুনুইয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪৭ রানে হেরেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান মাশরাফি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৫ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিক দল। জবাবে ১৪৮ রানে সবকটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

ওয়ানডে সিরিজের পর প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরেছিল বাংলাদেশ। ধারাবাহিকভাবে বাজে পারফরম্যান্স করে আসছিলেন ব্যাটসম্যানরা। মূলত টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারে কোনো ব্যাটসম্যানই বড় ইনিংস খেলতে পারছিলেন না। আজও একই চিত্রনাট্যের পুনঃরাবৃত্তি! বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি টাইগাররা। ১০৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর পরবর্তী ৪৪ রান তুলতে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যাটিং ধসের নাটকীয়তায় নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারল বাংলাদেশ।

পাহাড় সমান লক্ষ্যের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারে ইমরুল শূণ্য রানে বিদায় নেন। মিচেল স্যান্টনারের বলে ডিপ মিড উইকেটে টম ব্রুছের হাতে ক্যাচ দেন ইমরুল। স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে নিজের উইকেট হারান পুরো সফরে রান খরায় ভুগতে থাকা ইমরুল। দ্বিতীয় উইকেটে সাব্বির রহমান ও তামিম ইকবাল ৩৩ রানের জুটি গড়েন। তামিমের রান আউটে এ জুটি ভাঙার পরপরই সাকিব নিজের উইকেট প্রতিপক্ষকে ‘উপহার’ দেন। বেন উইলারের বলে কভার পয়েন্টে জেমস নিশামের হাতে ক্যাচ দেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ১ রানেই শেষ সাকিবের প্রতিরোধ।

চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ পায় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে কিউই বোলারদের কড়া শাসন করেন সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান। লেগ স্পিনার ইশ শোধীর করা প্রথম ওভারে ১৬ রান তুলেন দুজন। দুই ওভার পর পেসার গ্র্যান্ডহোমকে তুলোধুনো করে দুই তারকা ক্রিকেটার। ইনিংসের সর্বোচ্চ ২১ রান আসে এ ওভারে। তাদের ব্যাট ধরে ১০.৩ ওভারে শতরানের দেখা পায় বাংলাদেশ। জয়ের জন্য তখন ৫৭ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৯৬ রান।

ধারাভাষ্য কক্ষে বসে আতাহার আলী খান বারবার বলছিলেন,‘আজই বাংলাদেশের সুযোগ নিজেদের প্রমাণ করার। দারুণ ধারাবাহিক আছে দুজন। ১৫ ওভার পর্যন্ত টিকে থাকলে যেকোনো কিছু হওয়া সম্ভব।’ কিন্তু কে শুনে কার কথা! ওই ওভারের পঞ্চম বলে সৌম্য সরকার আউট। ভেঙে যায় তাদের ৬৮ রানের জুটি। ট্রেন্ট বোল্টের শর্ট বল অফস্ট্যাম্পের বাইরে এসে পুল করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দেন সৌম্য। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ থাকা সৌম্য আজ বড় কিছুর ইঙ্গিত দিলে তার ইনিংটি থেমে যায় ৩৯ রানে। ২৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান সৌম্য। সৌম্য যখন আউট হলেন তখন দলীয় রান ১০৪। সেখান থেকে ১৪৮ এ যেতেই শেষ ৬ ব্যাটসম্যান।

১৩তম ওভারে ইনিংসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাব্বির রহমান লং অফে ক্যাচ দেন। ৩২ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় সাব্বির করেন ৪৮ রান। এরপর মোসাদ্দেক (১), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১৯), মাশরাফি (১) ও নুরুল হাসান (১০) আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন রুবেল হোসেন (১)।



মন্তব্য চালু নেই