টুইটারে সক্রিয় খালেদা, পাচ্ছেন সাড়া

মাইক্রোব্লগিং সামাজিক সাইট টুইটারে সক্রিয় আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সর্বশেষ, মঙ্গলবার বিকেলে এএফসি অনুর্ধ্ব ১৬ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করায় বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেন তিনি।

ইতোমধ্যে, বর্তমানে টুইটারে খালেদা জিয়ার ফলোয়ারের সংখ্যা ১১ হাজার ২শ ৫৮ জন। যদিও তার ফলোতে আছেন মাত্র ১০টি টুইটার অ্যাকাউন্ট। এর মধ্যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস, ইউকে প্রাইম মিনিস্টার, হোয়াইট হাউজ, জাতিসংঘ উল্লেখ্যযোগ্য। এছাড়া ডয়েচে ভেলের সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলাম আছেন তার ফলোতে। বাকিগুলো বিএনপির নিজস্ব কিছু অ্যাকাউন্ট।

এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর টুইট করেন খালেদা জিয়া। এতে লেখা ছিল, ‘প্রতিষ্ঠা দিবসের আহ্বান – আসুন আমরা স্বৈরশাসনকে পরাজিত করি, ঐক্যবদ্ধ হই এবং মুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ি।’

১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় জানানো হয়েছিল, টুইটারে সক্রিয় হয়েছেন খালেদা জিয়া। তুরস্কের সেনাবাহিনীর অভ্যূত্থান নিয়েও টুইট করেছেন তিনি।

এদিকে, টুইটারে আসায় বিএনপির নেতাকর্মীরা নেত্রী খালেদা জিয়ার ওপর খুশি হয়েছেন। তার টুইটের নিচে কমেন্টসে সাংবাদিক হাবিবুর রহমান খান লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ। আশা করি, যেকোন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এভাবেই সরাসরি আপনার প্রতিক্রিয়া পাবো।’ শাহাদাৎ হোসাইন নামে একজন কমেন্টস করেছেন, ‘শত দু:সংবাদের মাঝে একটি ভাল সংবাদ।’

অনেকে আবার খালেদা জিয়ার সমালোচনাও করেছেন। মোকসেদুল ইসলাম নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে কমেন্টস করা হয়েছে, ‘আপনাকে টুইটারে অভিনন্দন। একটা কথা বলতাম সেটা হলো, আপনে জনগণকে আসতে বলে নিজে পিছে হেঁটে যান, সেজন্য কেউ আপনার কথাই কানমুখ নড়ে না।’

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘ম্যাডাম খালেদা জিয়া জনগণের আরও কাছে আসতেই টুইটারে সক্রিয় হয়েছেন। সময়ের তালে তালে তিনিও প্রযুক্তির উন্নয়ন ব্যবহারের সঙ্গী হয়েছেন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি টুইটারে অবস্থান ব্যক্ত করবেন বলে আশা করি।’

১ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় নিজের নামে ফেসবুক পেজ ও টুইটার অ্যাকাউন্টের উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।



মন্তব্য চালু নেই