টেকনাফের পাহাড়ে মুখোশধারী অজ্ঞাত সশস্ত্র বাহিনী : এলাকাজুড়ে মাইকিং

কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ে ভারী অস্ত্রধারী ও মুখোশপরা সশস্ত্র একটি বাহিনীর অবস্থানের খবর পাওয়া গেছে। তবে এ বাহিনী কারা–এ সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনও ধারণা নেই। মুখোশ পরা এ বাহিনীর উপস্থিতির পর এলাকায় লোকজনকে সর্তক অবস্থানে থাকার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।

স্থানীয়দের ধারণা, গত ২৭ আগস্ট বান্দরবানের মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র বাহিনী আরাকান আর্মিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ায় এরা সেখান থেকে সরে এসে টেকনাফের পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের দাবি, ভারী অস্ত্র ও মুখোশধারী ২০/২৫ জনের একটি দল গত তিন দিন ধরে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়ার বরছড়ার তইংঙ্গা নামক পাহাড়ে অবস্থান করছে। ধারণা করা হচ্ছে, অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোনও একটি সংগঠনের সদস্য হতে পারে এরা। স্থানীয়দের মধ্যে এ সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতির ফলে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ হোসেন জানান, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়া পশ্চিমের পাহাড়ে কয়েক দিন ধরে ২০/২৫ জন অস্ত্রধারী লোক দেখা গেছে বলে স্থানীয় চাষী আমান উল্লাহ ও আবদু সাত্তারসহ অনেকের মাধ্যমে জানা গেছে। এরপর এলাকার মসজিদের মাইকে প্রচার করে এলাকায় পাহারাও বসানো হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি প্রশাসনের লোকজনকে অবহিত করা হয়েছে।

এলাকার চাষীদের বরাত দিয়ে হোসেন আরও জানান, মুখোশধারীরা ওই এলাকার লোকজনের কাছ থেকে ডাল ও চাল সংগ্রহ করছে বলে শোনা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, পাহাড়ে অবস্থানকারীদের চেহারা উপজাতিদের মতো। ধারণা করা হচ্ছে, বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে সেনা ও বিজিবির যৌথ অভিযানের কারণে মুখোশধারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা এখানে এসে অবস্থান নিয়েছে।

একই এলাকার কবির আহমদ নামের এক ব্যক্তি জানান, ভারী অস্ত্রধারী এই দলটি মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের কোনও সংগঠনের সদস্য হতে পারে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, অস্ত্রধারীদের অবস্থানের খবর পেয়ে রবিবার উপজেলার আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে জানানো হয়েছে। এছাড়া এলাকার লোকজনকে সর্তক থাকার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান খন্দাকার জানান, বিষয়টি জানার পর পুলিশ পাহাড়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, পাহাড়ে মুখোশধারী সশস্ত্র একটি দলের অবস্থানের খবর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আইনশৃঙ্খলার সভায় অবহিত করেছেন। এরপর থেকে সেখানে মুখোশধারী কোনও লোক অবস্থান করছে কি না তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই