টেকনাফ পাহাড়ে প্রশাসন ও বনবিভাগে যৌথ অভিযান ঝুকিঁ পূর্ণ বাড়ি ঘর উচ্ছেদ

টেকনাফের পাহাড়ে ও পাহাড়ের পাদদেশে অতি ঝুঁকিতে বসবাসকারী পরিবারকে সরিয়ে আনতে অবশেষে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ২৫ জুন দুপুরে অভিযান চালিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে টেকনাফ উপজেলার সর্বত্র অবিরাম ভারী বর্ষনে সম্ভাব্য পাহাড় ধসের আশংকায় টেকনাফ পৌরসভা, টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন, বন বিভাগ এবং ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে মাইকিং করে সতর্ক ও সরিয়ে যেতে বলা হলেও টেকনাফের পাহাড়ে ও পাহাড়ের পাদদেশে অতি ঝুঁকিতে বসবাসকারী পরিবারদের কেউ তা কর্ণপাত করেনি।

২৩ ও ২৪ জুন টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহমদের কার্যালয়ে এনিয়ে পৃথক বৈঠক এবং বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। একদিকে অবিরাম ভারী বর্ষনে পাহাড় ধসের আশংকা অন্যদিকে পাহাড়ের পাদদেশে অতি ঝুঁকিতে বসবাসকারী পরিবার গুলোর অনড় অবস্থানের কারণে বড় ধরণের অঘটন এড়াতে অবশেষে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ২৫ জুন দুপুরে উপজেলা পরিষদের পশ্চিমে ফকিরামুরায় অভিযান পরিচালনা করেন।

টেকনাফ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ও সহকারী কমিশণার (ভুমি) জাহিদ ইকবাল, টেকনাফ পৌর মেয়র হাজী মোঃ ইসলাম, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ রেজাউল করিম, টেকনাফ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) মোঃ জহিরুল ইসলাম, টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ দল, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।

অভিযান শেষে টেকনাফ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান- এই অভিযানে পাহাড়ে ও পাহাড়ের পাদদেশে অতি ঝুঁকিতে বসবাসকারী ১২০ পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।

তাছাড়া ৪টি বসতবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান- নিরাপদে সরিয়ে আনা পরিবারগুলোকে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার ব্যবস্থা নেয়া হলেও তারা থাকতে সম্মত হয়নি। তারা নিজ নিজ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই