টেকনাফ ২ বিজিবি প্রায় ৫০ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস

ফয়েজুল ইসলাম রানা, টেকনাফ : দেশে মাকদ উৎপন্ন না হলেও বিদেশী মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে সীমান্ত শহর টেকনাফ। হাত বাড়ালেই সহজে মিলছে ইয়াবাসহ হরেক রকম মাদক। ফলে ধ্বংসের পথে পা বাড়াচ্ছে যুব সমাজ। এসব মাদক পাচার হয়ে আসছে মিয়ানমার ও ভারত থেকে। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট, আন্দামান গোল্ড বিয়ার, কান্ট্রি ড্রাইজিন মদ, মায়ানমার মদ, জান্স ইগল মদসহ প্রায় ১৫/২০ রকমের মাদক পাচারের তালিকায় রয়েছে। পাচারকালে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিজিকি কর্তৃক গোটি কয়েক মাদক জব্দ কিংবা আটক হলেও বেশির ভাগ মাদক তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলে যাচ্ছে সেবনকারীদের হাতে।

এদিকে ২৬ আগষ্ট ২০১৫ থেকে ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত প্রায় ৫০ কোটি টাকার মাদক পাচারকারীরা পাচার ও মজুদকালে জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের বিজিবি সদর দপ্তরে চত্বরে মালিক বিহীন মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজারের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল এম.এম আনিসুর রহমান পিএসসি।

তিনি বলেন, দেশের মাদক উৎপাদন না হলে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন প্রকার মাদকে ভরপুর হচ্ছে। এতে এদেশের যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। বিজিবি জওয়ানরা দিন রাত পরিশ্রমের মাধ্যমে মাদক পাচারকারীদের আটক ও ধাওয়া করে মাদক আটক করতে সক্ষম হচ্ছে। তবুও অনেকে রয়ে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বিশেষ করে ইয়াবা আটকে বিজিবি সফলতা অর্জন করায় পাচারকারী রুট পরিবর্তন করে এখন সাগর পথে সরাসরি চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এদের ধরতে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। মাদক ‘না’ বলুন, এই উক্তি সকলের কাছে পৌঁছে দিতে এবং মাদক পাচারকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য বিশেষ করে মিডিয়াকর্মীদের ভূমিকা রাখতে হবে।

এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আবু জার আল জাহিদ, মেজর আবু রাসেল ছিদ্দিকীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ ইকবাল, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের তপন কান্তি শর্মা। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সরকারী কর্মকর্তা ও মিডিয়াকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

মাদক বিনষ্ট করণ অনুষ্ঠানে ৪৮ কোটি ৩২ লক্ষ ২৭ হাজার ১০০ টাকার ইয়াবা, ৪৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ২৫০ টাকার আন্দামান গোল্ড বিয়ার, ডায়ারো বিয়ার ১২%, চেঞ্জ বিয়ার, কান্ট্রি ড্রাইজিং, ম্যান্ডেলা রাম, গ্লান মাষ্টার, নন্দ, হাইক্লাস, মায়ানমার, ইয়াংগন, জামাইকা রাম, লন্ডন রাম, জান্স ঈগল, গ্রান রয়েল হুইস্কি, হিরো হুইস্কি, কুইন হুইস্কি, গ্লান রয়েল, ডিং ডস, ভিআইপি, রেড লেবেল, সুপার এমপাইরাম রাম, হাই কমিশনার, চোলাই মদ, ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ ৪৯ কোটি ৬৮ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকার মদ বিনষ্ট করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই