টেলিভিশন যেভাবে প্রতিদিন ক্ষতিগ্রস্থ করছে আপনাকে
আধুনিক যুগে বিনোদনের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে টেলিভিশন। চারকোনা এই বাক্সটি ছাড়া আমাদের প্রতিদিনের কাজ যেন একেবারেই অপূর্ণ থেকে যায়। যদিও সময় নষ্ট করার জন্যে অনেকে একেবারেই পছন্দ করেননা টেলিভিশনকে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, কেবল সময় নষ্টই নয়, টেলিভিশন আরো বিভিন্নভাবে নেতিবাচক প্রভাব রাখে আপনার জীবনে? চলুন জেনে নিই টেলিভিশনের সেই বাজে প্রভাবগুলো।
১. কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়
১৯৯০ সালে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়া দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় বেশ ভীতিকর একটি তথ্য উঠে আসে। আর তথ্যটি হল এই যে, টেলিভিশন শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। দিনে যে শিশুরা চার ঘন্টা টেলিভিশন দেখে অন্যদের চাইতে তাদের শরীরে কোলেস্টরলের মাত্রা চারগুন বেশি থাকে। যেটা কিনা হৃদরোগের জন্যে দায়ী। কেবল শিশুরাই নয়, এই সমস্যায় মুখোমুখি হতে পারেন টেলিভিশনের সামনে বসে থাকা যে কোন বয়সী মানুষ। অতিরিক্ত সময় এক জায়গায় বসে থাকা আর টেলিভিশন দেখার সময় জাঙ্কফুড গ্রহনের কারণেই এমনটা হয়ে থাকে বলে জানান গবেষকেরা।
২. সহিংস করে তোলে
১৯৬০ সালে প্রফেসর রাওয়েল হুসম্যান আমাদের আচরণের ওপর গনমাধ্যমের প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণা করেন। আর সেখানে তিনি জানতে পারেন যে, সাধারণত টেলিভিশনের খুব একটা খাবার প্রভাব আপাতদৃষ্টিতে চোখে না পড়লেও এর মারামারি বা সহিংসতার দৃশ্যগুলো শিশুদেরকে সহিংস করে তোলে অনেক বেশি। তারা অসহিষ্ণু হয়ে পড়ে। ধৈর্য্য হারিয়ে আক্রমণাত্মক আচরণ করে।
৩. ঘুম কমিয়ে দেয়
মাস জেনারেল হসপিটাল এবং হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ পরিচালিত একটি গবেষণায় উঠে আসে যে, প্রতি এক ঘন্টা টেলিভিশন দেখা আমাদের সাত মিনিট ঘুম কমিয়ে দেয়। আর শোওয়ার ঘরে টেলিভিশন থাকলে সেটা কম করে হলেও ৩০ মিনিট ঘুম কমিয়ে দেয় মানুষের। এই প্রভাব মেয়েদের চাইতে ছেলেদের ওপর বেশি পড়ে।
৪. মস্তিষ্ককে ভোঁতা করে দেয়
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি পরিচালিত একটি গবেষণায় দিনা বোরজেকোস্কি পান যে, যে শিক্ষার্থীরা টেলিভিশনের পেছনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে থাকে তাদের শিক্ষার অগ্রগতি যথেষ্টরকম ব্যহত হয়। কোন একটি বিষয় অন্যেরা যতটা সহজে বুঝতে ও প্রকাশ করতে পারে সেই তুলনায় তাদের সময় লাগে বেশি। তবে এ ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার মস্তিষ্ককে প্রখর করে তোলে বলে জানান তারা।
মন্তব্য চালু নেই