ট্রেনের শিডিউল লণ্ডভণ্ড

বেসরকারি একটি ব্যাংক কর্মকর্তা আফজাল হোসেন। ঈদের ছুটিতে আজ (সোমবার) সকালে স্ত্রী ও পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে সুন্দরবন এক্সপ্রেসযোগে খুলনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভোর সাড়ে ৫টায় কমলাপুর রেল স্টেশনে এসে পৌঁছান। শিডিউল অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৮ টায় ট্রেনটি স্টেশনে এসে না পৌঁছানো কথা। তিনি এর আগের স্টেশন মাস্টার মো. সাখাওয়াত আলীর জানতে চান সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি কখন আসবে এবং ছেড়ে যাবে। স্টেশন মাস্টার ওয়াকিটকিতে যোগাযোগ করে আফজাল হোসেনকে জানালেন, ‘আশা করছি ৯টায় খুলনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে পারবেন।’

সোমবার সকালে সরজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, শুধু আফজাল হোসেন নয়, তার মতো শত শত যাত্রী ভোর থেকে শিডিউল ট্রেনের অপেক্ষায় কমলাপুর রেল স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। বিভিন্ন ট্রেনের শিডিউল লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ফলে বিভিন্ন বয়সী ছেলে, মেয়ে, শিশু ও বয়স্করা ব্যাগ নিয়ে অপেক্ষা করছে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ঈদ করবেন।

শিশুরা অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে বাবা-মার কাছে ট্রেন কখন আসবে জানতে চাইছিলেন। কিন্তু অভিভাবকরা তার কোনো সদোত্তর দিতে পারছিলেন না। একটু পর পর স্টেশনে শিডিউল ডিসপ্লে বোর্ড দেখে এসে সম্ভাব্য সময় জানাচ্ছিলেন তারা।

ডিসপ্লে বোর্ডে দেখা যায়, রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ৬টা ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সম্ভাব্য ছেড়ে যাওয়ার সময় ৯টা ৫০ মিনিট। একইভাবে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় শিডিউল থাকলেও সম্ভাব্য সময় দেখাচ্ছে সাড়ে ১২টায়। দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস সকাল ১০টার বদলে ২০ মিনিট দেরিতে ছেড়ে যাবে বলে ডিসপ্লে বোর্ডে লিখা ছিল। তবে সম্ভাব্য সময় সম্পর্কেও নিশ্চিত কোনো তথ্য পাচ্ছিলেন না যাত্রীরা।

ট্রেনের শিডিউলের এ অবস্থার কারণ জানতে চাইলে স্টেশন মাস্টার জানান, ঈদের সময় অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে প্রতিটি স্টেশনে যাত্রী উঠানামায় বিলম্ব হচ্ছে। ফলে শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন স্টেশনে পৌঁছাচ্ছে না।



মন্তব্য চালু নেই