ট্রেনে চড়লেই আপনি হবেন রাজা !

১৯৮২ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে চালু হয় ‘প্যালেস অন হুইলস’। ২৩ টি কামরা এই ট্রেনের। প্রতিটির নাম রাখা হয় পূর্বতন রাজপুত রাজ্যগুলির নামে। যেমন— আলওয়ার, ভরতপুর, বিকানির, বুঁদি, ঢোলপুর, ডোঙ্গরগড়, জয়সলমীর, জয়পুর, ঝালওয়ার, যোধপুর, কিষাণগড়, কোটা, শিরোহি এবং উদয়পুর। কামরার ভিতরের সাজসজ্জাও রাজকীয় অতীতের সঙ্গে মানানসই। ২০০৯ সালে ট্রেনটিকে নতুন করে সাজানো হয়। ২০১০ সালে বিশ্বের চতুর্থ বিলাসবহুল ট্রেনের মর্যাদা পায় ‘প্যালেস অন হুইলস’।

‘প্যালেস অন হুইলস’ ট্রেনে একটা আস্ত প্যালেস যেন সাজানো হয়েছে। একটি ৭ রাত ও ৮ দিনের রাউন্ড ট্রিপে এই ট্রেন তার যাত্রাকে সীমায়িত রাখে। প্রথমদিন নয়াদিল্লি, দ্বিতীয় দিন জয়পুর, তৃতীয় দিন মাধোপুর এবং চিতোরগর, চতুর্থ দিন উদয়পুর, পঞ্চমদিন জয়সলমির, ষষ্ঠ দিন যোধপুর, সপ্তমদিন ভরতপুর এবং আগ্রা, অষ্টম অর্থাৎ শেষ দিন আবার দিল্লিতে ফেরত আসে। মোট ১০৪ জন যাত্রী চড়তে পারেন প্রতি ট্রিপে।

দুটি ডাইনিং কার রয়েছে। একটির নাম ‘দ্য মহারাজা’ এবং একটির নাম ‘দ্য মহারানি’। এই ট্রেনে একটি বার কাম লাউঞ্জ কারও আছে। আছে স্পা। ট্রেনে চাপলেই আপনি রাজা। আসল রাজা নাহলেও, মেজাজে তো বটেই।

এবার প্রশ্ন হচ্ছে ভাড়া কত? এটা নির্দিষ্ট নয়। টিকিটের চাহিদা অনুসারে ওঠানামা করে। বিদেশিদের জন্য আলাদা ভাড়া আর ভারতীয়দের জন্য কিছুটা সস্তা। তবে মোটামুটি ২ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩০০ টাকার মধ্যেই ঘোরাফেরা করে প্যাকেজ।

প্যাকেজের মধ্যে অবশ্য খাওয়া দাওয়া ছাড়াও ধরা থাকে জয়সলমিরে উটে চড়া, উদয়পুরে নৌকোয় চড়া এবং ভরতপুরে রিক্সায় চড়ার খরচ। সুত্রে-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই