ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই

ঈদ উপলক্ষে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন ও লঞ্চঘাট সর্বত্রই শুধু মানুষ আর মানুষ। রাজধানী ঘুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, যাত্রীর চাপ মেটাতে বাস কোম্পানিগুলো যেমন হিমশিম খাচ্ছে, তেমনি এ অবস্থার সুযোগে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। শিডিউল মতো ছেড়ে যেতে পারছে না কোনো ট্রেন। এতে বাড়ছে যাত্রীদের ভোগান্তি। এমনকি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও লঞ্চে বহন করা হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী।

বুধবার সকাল থেকেই মহাখালী, সায়েদাবাদ, ফুলবাড়িয়া ও গাবতলী বাস টার্মিনাল এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কাউন্টারে ভিড় বাড়তে থাকে। নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে অনেকেই আগে থেকে নির্ধারিত বাসের টিকেট করে রেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, সময়মত কোনো বাসে ঢাকা ছেড়ে যেতে পারছে না।

মহাখালীর এনা পরিবহনের যাত্রী কাদের জানালেন, নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তার ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে এ পরিবহনের বাস টার্মিনাল ছাড়তে পারেনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনা পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানায়, যানজট ও বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত বাস এসে পৌঁছায়নি।

সায়েদাবাদে বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে রওনার জন্য অপেক্ষারত কবির নামে একজন জানালেন, এখন নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে টিকেট প্রতি ১০০ টাকা বেশি দাবি করা হচ্ছে।

তবে বাস কাউন্টারে কর্মকর্তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, যাত্রীর চাপ মেটাতেই তাদের এখন বেশি ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।

কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেল, শুধু মানুষ আর মানুষ। কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেল, তারা সবাই ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন।

পলাশ নামের একজন জানালেন, জামালপুরের ট্রেন সাড়ে চারটায় ছাড়ার কথা থাকলেও পাঁচটায়ও ছাড়তে পারেনি।

এ বিষয়ে স্টেশনের কর্মকর্তারা কিছু বলতে রাজি হননি।

অন্যদিকে সদরঘাটে গিয়ে মনে হলো যেন জনসমুদ্র। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছে না কেউ। যে সব লঞ্চ ঘাট ছেড়ে গেছে এর সবগুলোতেই প্রায় দ্বিগুণ যাত্রী বোঝাই করা ছিল।

যত কষ্টই হোক না কেন বাড়ি ফিরতে পারলে এর সবই নস্যি। কিন্তু ঈদ উদযাপনের ব্যস্ততা যেন কারো শোকের কারণ না হয়। এজন্য সড়ক, রেল ও নৌ পরিবহন কাজে নিয়েজিত ব্যক্তি-দেখভালকারীদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা ও নৈতিক হওয়াটা যেমন জরুরি তেমনি দরকার যাত্রীদের সচেতনতা। কিন্তু রাজধানী ঘুরে মনে হলো, কে শোনে কার কথা।



মন্তব্য চালু নেই