ঠাঁই নেই বাবা-মায়ের কাছেও, দুই শিশুকে নিয়ে খালপাড়ে সংসার তরুণীর

কোলে সদ্যোজাত কন্যা সন্তান। খালের পাড়ে দিন কাটছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বারুইপুরের ওড়ঞ্চো গ্রামের বাসিন্দা সুমিত্রা মণ্ডলের।

পাঁচ বছর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির বাসিন্দা অরুণ রাউতের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুমিত্রার। বিয়ের পর থেকে অশান্তি শুরু হয়। বছর দুই আগে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ওড়ঞ্চো গ্রামের তরুণী। সেই সময় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু অভিযোগ, সম্প্রতি সুমিত্রা আবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে অত্যাচার বাড়তে থাকে। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে এসে বাপের বাড়ি আশ্রয় নেন তিনি। কিন্তু

সেখানেও ঠাঁই হয়নি তাঁর।

সুমিত্রার কথায়, ‘‘শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করত। বাপের বাড়ি চলে এসেছিলাম। কিন্তু কয়েকদিন পর বাবাও তাড়িয়ে দেয়।’’

মাসতিনকে ধরে খোলা আকাশের নীচেই দিন কাটছে ওড়ঞ্চো গ্রামের তরুণীর। কালীপুজোর কয়েকদিন আগে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। নাম রেখেছেন মৌলি। ছেলে রাহুল আর মেয়ে মৌলিকে নিয়ে কাটা খালের পাড়ে সংসার পেতেছেন সুমিত্রা। এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্লাস্টিক, বাঁশ দিয়ে খালের পাড়ে একটি আস্তানা গড়ে দিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয়েরাই উদ্যোগী হয়ে খাবার, পোশাকের জোগান দেওয়া থেকে শুরু করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।

সুমিত্রার বাবা অধীর, ভাই গোপাল মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর মা সরস্বতীর কথায়, ‘‘আমি চাই মেয়ে ঘরে থাকুক। কিন্তু আমার কথা কেউ শোনে না।’’ সুমিত্রার শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

আর স্থানীয় সাউথ গড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি বারুইপুর হাসপাতালে ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। সেখানেই মৌলির জন্ম হয়েছে। সরকারিভাবে আরও কী করা যায় সেটা দেখছি।’’



মন্তব্য চালু নেই