‘ঠেঙ্গারচরে রোহিঙ্গাদের জীবিকা ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘স্রোতের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে। কক্সবাজার ছোট এলাকা। এখানে তাদের থাকার মতো জায়গা নেই।

কক্সবাজার শহর একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র। এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা বিনোদনের জন্য আসে। পর্যটন এলাকার সৌন্দর্যের বিষয়টি চিন্তা করে এবং মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের হাতিয়ার ঠেঙ্গারচরে পুনর্বাসন করা হবে। সেখানে তাদের জীবন জীবিকা এবং শিক্ষার ব্যবস্থাও করা হবে।’

রোববার দুপুরে কক্সবাজারের কলাতলীতে ‘লিংকরোড মোড় জাতীয় মহাসড়কের (এন-১১০) কলাতলী (ডলপিন স্কয়ার) হতে সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত সড়কের সৌন্দর্যবর্ধন ও প্রশস্তকরণ কাজ’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন বলেন, ‘পর্যটনের কথা চিন্তা করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে চারলেনে রূপান্তরের কাজও শীঘ্রই শুরু করবে সরকার। বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসবেন। তাদের সাথে সড়কে অর্থায়নের ব্যাপারে কথা হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়কের কাজ শেষের পথে। ২ কিলোমিটার মিসিং-লিংকের কাজ দ্রুত শুরু হবে। সড়কটি পর্যটন বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।’

তিনি বলেন, ‘হোটেল শৈবাল পয়েন্ট পর্যন্ত ‘ওয়াকওয়ে’-এর কাজ নিয়ে জটিলতা কেটে গেছে। টাকার জন্য কাজ আটকে থাকবে না। সেনা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে কাজ চলবে। ফাইনালি আমি দেখছি।’

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘আগামী এপ্রিল মাসেই কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই উদ্বোধন করবেন।
এছাড়াও মিয়ানমার এবং ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত ৮০০ কিলোমিটার ‘সীমান্ত সড়ক’ নির্মাণেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ কাজে সরকার ৫০০০ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করেছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ, জেলা প্রশাসক প্রশাসক মো. আলী হোসেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক তারেক ইকবাল, নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়াসহ আরো অনেকে।



মন্তব্য চালু নেই