ডাকাত আতংকে ফরিদপুরবাসী

ডাকাত আতংকে পড়েছে দেশের পুরাতন জেলা হিসেবে খ্যাত ফরিদপুর সদর উপজেলার জনগন। হঠাৎ করে নতুন এই আতংকে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সদর উপজেলার জনগন। প্রতি রাতে রাত জেগে বসে পাহারা দেওয়া হচ্ছে। কোথাও আবার রাতে মসজিদের মাইকের সাহায্য নিয়ে ঘোষনা দিয়ে সজাগ করা হচ্ছে জনগনকে। এর আগে গত বুধবার রাতে এক সাথে তিন ডাকাত গনপিটুনীতে নিহত হলেও থেমে নেই ডাকাত ভীতির আতংক। এরপড় গত শুক্রবার সকালে লোকজন অজ্ঞাত পরিচয়ের এ যুবককে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে যায় ধারনা করা হচ্ছে গনপিটুনীতে সেও মারা গেছে।

গত দুদিনে ৪জন ডাকাত গনপিটুনীতে নিহত হলেও থেমে নেই ডাকাত ভীতির আতংক। ইশানগোপালপুর ইউনিয়নের ফারুক শেখ জানান, আমরা রাতে সোরগোলের আওয়াজ শুনে সংগে সংগে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে লোকজনকে সজাগ করেছি। মাচ্চর ইউনিয়নের খলিলপুরের মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার শামসুর রহমান জানান, ধুলদীর ওইদিকে সোরগোলের আওয়াজ শুনে আমার নিজের বন্দুক নিয়ে পাহারা দিয়েছি। এছাড়া আমাদের বাজার খলিলপুরে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহরতলির বদরপুরের রতন জানান, ভাই বড় ভয়ের মধ্যে রয়েছি কখন কি হয়, সব চাইতে বড় ভয়ের কারন ডাকাতি করতে এসে তারা নারীদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে এটা নির্মম ও দুঃখজনক ব্যাপার।

এভাবে ভয়ের মধ্যে দিয়ে রাত পাড় করছেন শহর ও ইউনিয়নের জনগন সবচাইতে বড় কথা ডাকাতি ঘটনার থেকে আতংক বিরাজ করছে জনগনের মাঝে বেশী। গত কয়দিনে ফরিদপুরের শহরতলির বদরপুরে কিছু ডাকাতি ঘটনা পরবর্তীতে তিনজন ডাকাত গনপিটুনীতে নিহত হওয়ার পরেও থেমে নেই ডাকাত ভীতি। এটা এখন শহর এবং ইউনিয়নের হঠাৎ ডাকাত আতংকে পরিনিত হয়েছে।

স্থানীয় জনগন এ ব্যাপরে এখনই ফরিদপুরের প্রশাসন ও নিষ্ঠাবান ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহতেশাম হোসেন বাবর সাহেবের সহযোগিতা চেয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই