ডাক্তারি পরীক্ষার পর সেই ১২ ‘হিজড়া’র নিয়োগ স্থগিত

ডাক্তারি পরীক্ষার পর, বাংলাদেশ সমাজসেবা দপ্তরে চাকরির জন্য মনোনীত ১২ জন ‘হিজড়া’র নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে।

ঢাকার সিভিল সার্জনের দপ্তর তাদের পরীক্ষার রিপোর্টে বলেছে, ঐ ১২ জন “পূর্ণাঙ্গ পুরুষ বলে প্রতীয়মান হয়।”

দুদিন আগে এই মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পর, সমাজসেবা অধিদপ্তর নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে।

এ ঘটনা বিবিসির কাছে নিশ্চিত করেছেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক পারভীন মেহতাব।

তিনি জানান, মেডিকেল রিপোর্টের তীব্র প্রতিবাদ করছেন কথিত ঐ হিজড়ারা।

“আমার কাছে এসে তাদের কজন প্রতিবাদ করে বলেছেন আমরা হিজড়া। প্রতারণা করতে চাইলে আমরা কি ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য যেতাম…কিন্তু ডাক্তারি পরীক্ষা বিশ্বাস করা ছাড়া অধিদপ্তরের আর কি করার আছে বলুন।”

মিস মেহতাব জানান, লিঙ্গ নির্ধারণে ঐ ১২ জনকে আরও পরীক্ষা করা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন তিনি।

চট্টগ্রামের দুজন ‘পুরুষ জাতীয় হিজড়া’

পারভীন মেহতাব জানান, কল্যাণ এবং পুনর্বাসনের অংশ হিসাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে কিছু হিজড়াকে সমাজসেবা দপ্তরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২০১৪ সালে।

এরপর মৌখিক পরীক্ষার পর ঢাকায় ১২ জন এবং চট্টগ্রামে দুই জনকে মনোনীত করা হয়।

“হিজড়া পরিচয়ে অনেক সময় বিভিন্ন প্রতারণার ঘটনা ঘটে। এ কারণে নিয়োগ দেওয়ার আগে আমরা তাদের লিঙ্গ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”

আর তাতেই এই বিপত্তি আর বিভ্রান্তির সৃষ্টি।

ঢাকায় মনোনীত ১২ জনকে পুরুষ বলছেন সিভিল সার্জন।

কিন্তু চট্টগ্রামের পরীক্ষায় দুই জনকে “পুরুষ জাতীয় হিজড়া” হিসাবে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ফলে, চট্টগ্রামে মনোনীত দুই জনকে নিয়ে সমাজসেবা দপ্তর কি করবে সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই